শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

কেউ কথা রাখেনি

প্রকাশের সময় : ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা

ভোটের সময় মেম্বার চেয়ারম্যানরা বলেছিলেন, ভোট দাও বয়স্ক-ভাতা পাবে। সংসদ নির্বাচনেও একইভাবে ভোট নিয়েছিল মসলেম উদ্দীন শাহের কাছ থেকে। কিন্তু ভোট চলে গেছে সেই কবে, কেও কথা রাখেনি। বয়স এখন সত্তরের কাছাকাছি। পাথরের মতো পেটানো শরীরটি ক্রমশ নিস্তেজ হয়ে পড়ছে। তারপরও ক্ষুধার যন্ত্রণা আর অভাবের তাড়নায় বৃদ্ধ মসলেমকে খোয়া ভেঙে জীবিকা নির্বাহ করতে হচ্ছে। মসলেম শাহ বাড়ি ঝিনাইদহ শহরের পাগলাকানাই ইউনিয়নের গয়াসপুর কোরাপাড়া বটতলা কলোনিতে বসবাস করেন। তার বাবার নাম তুষ্টি শাহ। বৃদ্ধ মসলেম উদ্দীন আক্ষেপ করে জানান, স্ত্রী জহুরা খাতুন অ্যাজমার রোগী। সেও মাঝে-মধ্যে বাঁচে না। দুই ছেলে বিয়ে করে আলাদা। তিন মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে বিধবা হয়ে বাড়িতে বসে আছে। বাবার সঙ্গে মেয়েও খোয়া ভাঙে। তিনি অভিযোগ করেন, ইউনিয়নের মেম্বার চেয়ারম্যানদের কাছে বয়স্ক-ভাতা চেয়ে কোনো লাভ হয়নি। রাজনীতি আর প্রভাবের কাছে মসলেম উদ্দীনের বয়স্ক-ভাতা হয় না। খুঁটোর জোর নেই বলে কেও পাত্তা দিতে চায় না। তিনি বলেন, এই বৃদ্ধ বয়সে একটা বয়স্ক-ভাতা পেলে অসুস্থ স্ত্রী ও বাড়িতে থাকা বিধবা মেয়েকে নিয়ে কিছুটা হলেও বাঁচতেন। এ বিষয়ে পাগলাকানাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জানান, মসলেম শাহ যাতে বয়স্ক-ভাতা পান, সে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখবেন তিনি। ঝিনাইদহ উপজেলার সমাজসেবা কর্মকর্তা মোমিনুর রহমান বলেন, বিষয়টি দেখভালের দায়িত্ব তো এলাকার চেয়ারম্যান-মেম্বারদের। তারপরও মসলেম শাহ যাতে বয়স্ক-ভাতা পান সে বিষয়ে তিনি ব্যবস্থাগ্রহণ করবেন। মসলেম উদ্দীন শাহের সাথে যোগাযোগ ০১৬১০-২০৯৭১০ (নাতি ছেলে মানিক)।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন