চাটখিল (নোয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা
চাটখিল উপজেলা পরিষদ দীর্ঘদিন থেকে অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। চারদিকে ময়লা, আবর্জনার স্তূপ দুর্গন্ধে অফিসসমূহে কার্যক্রম চালানো এবং আবাসিক এলাকায় বসবাস করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চাটখিল উপজেলা পরিষদের দক্ষিণ গেইটের ভেতরে দুই পাশের ড্রেনে বসে বাজারের ব্যবসায়ী ও সাধারণ লোকজনকে প্র¯্রাব ও রাতের বেলায় পায়খানা করতে দেখা যায়। বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানি ও ডিস্ট্রিবিউটর তাদের কোম্পানির ডেলিভারির ট্রাক, পিকআপ, ভ্যান উপজেলার মাঠে পার্কিং করে রেখে প্রায় প্রতিদিনই চাটখিল বাজারের ঔষধ ও বিভিন্ন মালামাল দিয়ে থাকে। প্রতিদিন সকালে পৌর বাজারের তরকারি ব্যবসায়ী ও মাছ ব্যবসায়ীরা বাহির থেকে পিকআপ এবং ট্রাকে করে আনা তরকারি এবং মাছ উপজেলা পরিষদের ভেতরে আনলোড করায় দুর্গন্ধ ও ময়লা-আবর্জনা ছড়ানোর পাশাপাশি বিঘিœত হচ্ছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। উপজেলা পরিষদের উত্তর গেইট দিয়ে ঢুকলে তীব্র পচা দুর্গন্ধে রাস্তা দিয়ে চলাচল করা দায়। রাস্তার পাশে চাটখিল বাজারের মুরগি ব্যবসায়ীদের বিশেষ করে ব্রয়লার মুরগির উচ্ছিষ্ট অংশ ফেলায় উপজেলা পরিষদের আবাসিক এলাকায় বসবাস করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আবাসিক এলাকায় বসবাসকারী ডা. কামরুল হাছান জানান, উপজেলা পরিষদের পশ্চিমে রাস্তার পাশে বহিরাগত লোকজন বিভিন্ন ময়লা-আবর্জনা ফেলায় এর দুর্গন্ধ আবাসিক এলাকায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ফয়েজ আহম্মদ জানান, তার অফিসের সামনে মাছের পিকআপ আনলোড করায় দুর্গন্ধে অফিস করা যাচ্ছে না। এদিকে উপজেলা পরিষদের দীঘির পূর্ব পাড়ে ঈদগাহ মাঠে কিছু যুবক প্রতিদিন সন্ধ্যায় মাদকের আড্ডা বসার অভিযোগ রয়েছে। এতে উপজেলা পরিষদের আবাসিক এলাকায় বসবাসকারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এ অবস্থা বিরাজমান থাকলেও উপজেলা প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবরাউল হাসান মজুমদারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, পরিচ্ছন্নতা রক্ষা করা নাগরিক হিসেবে আমাদের সকলেরই দায়িত্ব। এরপরও যারা এখানে পরিবেশ বিনষ্ট করছে তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে একাধিকবার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে আরো কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন