আদমদীঘি (বগুড়া) উপজেলা সংবাদদাতা
আদমদীঘিতে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে ঋণদান ও আমানত গ্রহণকারী এনজিও প্রতিষ্ঠান। ঋণদান ও আমানত গ্রহণে সরকারি নিয়মনীতি মানছে না প্রতিষ্ঠানগুলো। সরকরের জোরালো কোনো নজরদারি না থাকায় প্রতিষ্ঠানগুলো যা ইচ্ছে তাই করছে। ঋণদানের পর জোরপূর্বক আদায়ের করার কারণে অনেকে জায়গা-জমি এমনকি বাড়িঘর বিক্রি করে সর্বস্বান্ত হচ্ছে। আবার অনেকে ওই এনজিওগুলোতে লক্ষ লক্ষ টাকা আমানত রাখার পর ফেরত না পেয়ে হাজার হাজার আমানতকারী সর্বস্বান্ত হয়ে পথে বসছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, উপজেলা সদর ও সান্তাহার জংশন পৌর শহর ও এর আশপাশের গ্রাম ও হাটবাজার এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে এনজিও প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে অল্পসংখ্যক প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশন থাকলেও সিংহভাগের রেজিস্ট্রেশন নেই। এনজিওগুলো সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে দরিদ্র, হতদরিদ্র, ছোটখাটো ব্যবসায়ীদের ঋণ দেয়ার পর জোরপূর্বক আদায় করছে। সময় মতো ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ ঋণ গ্রহীতাদের হতে হয় নানা নির্যাতনের শিকার। একপর্যায়ে জায়গা-জমি এমনকি বাড়িঘর বিক্রি করে সর্বস্বান্ত হচ্ছে শত শত পরিবার। আবার অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবী, ছোটখাট ব্যবসায়ী, বেকার যুবক এবং সাধারণ কৃষকরা অধিক মুনাফা লাভের আশায় স্থানীয় এনজিওগুলোতে লক্ষ লক্ষ টাকা আমানত রেখে মুনাফা দূরের কথা আসল টাকা ফেরত না পেয়ে হাজার হাজার আমানতকারী সর্বস্বান্ত হয়ে পথে বসছে। উল্লেখ্য, বগুড়ার সান্তাহারে আপ্রকাশি মালটিপারপাস কো-অপারেটিভ ঋণদান ও আমানত সংগ্রহ সংস্থা প্রায় আড়াইহাজার আমানতকারীর নিকট থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ করে প্রতি মাসে লাখে ২ হাজার টাকা করে মুনাফা দিয়ে আসছিল। একপর্যায়ে মুনাফা তো দূরের কথ আসল টাকা ফেরৎ দিতে টালবাহানা শুরু করে। ফলে গত মাসের ২০ তারিখে বিক্ষিপ্ত আমানতকারীরা শহরের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের ওই প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ে এবং স্টেশন রোডের অপর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হোটেল স্টারে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরে ১০ থেকে ৫০ হাজার টাকা রাখামাত্র কয়েকজন আমানতকারীকে টাকা ফেরত দিয়ে এবং সকল আমানতকারীকে টাকা ফেরতের আশ্বাস দিয়ে বন্ধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন