সৈয়দপুর (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে সৈয়দপুরে বাসের টিকিট সোনার হরিণ হয়েছে। কোরবানির পর ৪ দিন পর্যন্ত কোন টিকিট নেই। ফলে ২ হাজার টাকাতেও বাসের টিকিট মিলছে বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেন। সৈয়দপুর-ঢাকা রুটে ইউএস-বাংলা ও নভো এয়ারের দুটি করে এবং বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট নিয়মিতভাবে চলাচল করছে। ঈদ উপলক্ষে ১ হাজার ৮৮৮ টাকা থেকে ২ হাজার টাকার মধ্যে বিমানে যাতায়াত করা যাচ্ছে। অথচ এসি বাসের টিকিটের ভাড়া হাঁকা হচ্ছে ২ হাজার টাকা। এখান থেকে হানিফ এন্টারপ্রাইজ, নাবিল পরিবহন, এসএ পরিবহন, শ্যামলী, ডিপজল, হক এন্টারপ্রাইজ, মেহেরুনসহ বিভিন্ন দুরপাল্লার গাড়ি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করছে। সৈয়দপুর থেকে ঢাকা রুটে নরমাল গাড়িতে ৫শ’ টাকা এসি চেয়ার কোচের ভাড়া ৮শ’ টাকা হলেও তিনগুন/ চারগুন ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। কাউন্টারে টিকিট করতে আসা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র শফি জানান, তিনি ঈদের পর ১৭ সেপ্টেম্বর রাতের টিকিট করতে এসে ভাড়া ২ হাজার টাকা দাবি করা হয়েছে কাউন্টারে। ফলে এ অবস্থায় এসি চেয়ার কোচের টিকিট না কেটে নরমাল গাড়ির টিকিট ৮শ’ টাকায় কিনতে বাধ্য হয়েছেন। কয়েকটি কাউন্টার ঘুরে দেখা গেছে, বাসের কাউন্টারগুলোতে যাত্রীরা ভিড় করছেন কিন্ত ঈদের পরের ৫ দিনের টিকিট পাচ্ছেন না। কাউন্টারের লোকজনেরও কথা বলার সুযোগ নেই। একই অবস্থা রেলওয়ে স্টেশনে। লোকজন লাইনে দাঁড়িয়েও টিকিট পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করা হয়েছে। স্টেশনের একশ্রেণির লোকজন এই টিকিট নিয়ন্ত্রণ করছেন। নিরাপদ ও আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য স্টেশনে এসে বিফল হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। স্টেশন মাষ্টার আবুল কাশেম জানান, ঈদে সৈয়দপুর থেকে কোন স্পেশাল ট্রেন নেই। তবে আন্তঃনগর নীলসাগর এক্সপ্রেসে কয়েকটি বগি বাড়ানো হয়েছে। আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে রেলের টিকিট দেওয়া হচ্ছে। কোনো টিকিট কালোবাজারির হাতে নেই বলে তিনি দাবি করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন