মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

৩০ হাজার টাকা দিয়েও জুটেনি ঘর

প্রধানমন্ত্রীর আশ্রায়ণ প্রকল্প

মেহেদী হাসান মুবিন, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) থেকে | প্রকাশের সময় : ১৬ মার্চ, ২০২১, ১২:০১ এএম

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর গৃহহীন পরিবারকে উপহার হিসেবে নতুন ঘরের তালিকায় নাম ছিল উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়নের গরীব হিরণের। তার নামে একটি ঘরও বরাদ্দ হয়ে আসে। চেয়ারম্যানকে দাবিকৃত টাকা না দেয়ায় হিরণের নামে নেমপেলেট লাগানো ঘরটি এখন ঐ চেয়ারম্যানের কর্মচারীর। চেয়ারম্যানের স্বেচ্ছাচারিতায় বরাদ্দকৃত ঘর তৈরি হয় মাধবখালী ইউনিয়নের আইয়ুব আকনের জমিতে।

ভুক্তভোগী হিরন আকন জানান, যে সময় ঘরের জন্য নাম নেয়া শুরু হয়, তখন ঘর দিবে বলে আমাদের চেয়ারম্যান ভোটার আইডির ফটো ও ছবি চান। এ সময় তিনি ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন। আমি ছবি, ভোটার আইডির ফটো ও ৩০ হাজার টাকা চেয়ারম্যানেকে দেই। এর কিছুদিন পর চেয়ারম্যান ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে বলে। তার কথা মতো ৫শ’ টাকা দিয়ে পূবালী ব্যাংকে একাউন্ট খুলি। ঘর বরাদ্দ হয়ে আসার পরে চেয়ারম্যান আমাকে ডেকে নিয়ে বলেন, তোর নামে ঘর আসছে এখন আরো ৭০ হাজার টাকা দিতে হবে। আমি বললাম প্রধানমন্ত্রী ঘর দিছে তাতে আপনারে টাকা দিমু কেন। এ কথা বলায় চেয়ারম্যান আমারে থাপ্পর মারে। তিনি আরো জানান, বাকি ৭০ হাজার টাকা না দেয়ায় আমার নামে আসা ঘরটি তার মৎস্য-ঘেরের কর্মচারী শামীমের বাবা আইয়ুব আকনের জমিতে তৈরি করে তাদের কে দিয়ে দেয়। আমি এখন বউ, বাচ্চা নিয়া শ্বশুর বাড়ি থাকি। চেয়ারম্যানের ভয়ে বাড়ি যাই না।

এ প্রসঙ্গে মাধবখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো. মনিরুল ইসলাম তালুকদার জানান, ঘর দেয়ার আমি কে? আমি শুধু নামের তালিকা দিয়েছি। কোথায় ঘর তোলা হবে এটা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের দায়িত্ব। আমি কোনো টাকা পয়সা নেইনি। তবে ঘর পাওয়ার জন্য হিরন আমার কাছে আবেদন করলে ওকে সহযোগীতা করবো।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ওই সময় আমি দায়িত্বে ছিলাম না। তবে ফাইল দেখে নিশ্চিত হওয়া যাবে কীভাবে তার নামে বরাদ্দকৃত ঘর অন্যের জমিতে তৈরি করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা. তানিয়া ফেরদৌস জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন