কুষ্টিয়ায় ধর্ষণ এবং ভিডিও করার মামলায় রবিউল ইসলাম সোহাগ (২০) ও শাকিল আহমেদ (২২) কে তিনদিন করে পুলিশ রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ১৫ মার্চ দুপুরে এ আদেশ দেন কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক রেজাউল করিম। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি মোঃ শওকত কবির জানান, গত ১০ ফেব্রুয়ারি বিকেলে এক প্রবাসীর স্ত্রী সন্তানকে কোচিংয়ে দিয়ে বাইরে অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় আগে থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচিত রবিউল ইসলাম সোহাগ ফোন করে পার্কে দেখা করতে বলে। সেখান থেকে মার্কেটে শপিং-এ নিয়ে যাওয়ার কথা বলে শহরের একটি বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে বলে, এটা আমার বাসা, মা আছে একটু দেখা করে আসি। ওই বাড়িতে আগে থেকে অবস্থান করা যুবক শাকিল আহমেদ ও সোহাগ মিলে ওই গৃহবধূ ও তার চার বছরের শিশুপুত্রকে মারধর করে। তারা ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে প্রকাশ করে দেয়ার হুমকি দিয়ে দেড় লাখ টাকাও দাবি করেন। গৃহবধূ তাঁদের হাত-পা ধরে বারবার মাফ চান। টাকা দেওয়ার শর্তে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাড়িতে ফিরে ওই গৃহবধূ বিষয়টি তাঁর স্বজনদের জানান। এ সময় ওই গৃহবধূর মুঠোফোনে কল করে ওই যুবকেরা ৫০ হাজার টাকা পাঠাতে বলেন। গৃহবধূর এ কথোপকথন নিজের মুঠোফোনে রেকর্ড করে রাখেন। পরে কুষ্টিয়া মডেল থানা-পুলিশ ও র্যাবকে বিষয়টি অবহিত করেন তিনি। পুলিশ প্রযুক্তি ব্যবহার করে বৃহস্পতিবার রাতে ঈদগাহ পাড়ার একটি বাড়ি থেকে দুজনকেই আটক করেন। পরদিন শুক্রবার দুপুরে আটক করা হয় বাড়ির মালিক মাছুম আলি (৩৫)। ধর্ষিতা নারী ওই তিনজনের নামে মামলা করেন। ওসি মোঃ শওকত কবির জানান, আদালতে সোপর্দ করে রবিউল ইসলাম সোহাগ ও শাকিল আহমেদের ৫দিন করে রিমান্ডের আবদেন করা হয়। ১৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে আদালত দুই আসামির প্রত্যেককে ৩দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আর ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে বাড়ি মালিক মাছুম আলি (৩৫)।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন