শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

ফকরাবাদ আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয় গোলপাতার জীর্ণ ঘরে ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান

প্রকাশের সময় : ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি (সাতক্ষীরা) থেকে

আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের ফকরাবাদ আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয় গৃহের করুণ দশায় চরম হুমকির মধ্যে ক্লাস পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রাণের মায়া ত্যাগ করে বাধ্য হয়ে ভাঙা গৃহের মধ্যে ক্লাস নিতে বাধ্য হচ্ছে কর্তৃপক্ষ। ২০০৬ সালে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর রেজিস্টার প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। তখন একটি মাত্র গোলপাতা ছাউনির মাটির দেয়াল বিশিষ্ট ঘরে ক্লাস করা হতো। দীর্ঘকালেও অর্থের অভাবে গৃহটি সংস্কার না হওয়ায় চরম বেহাল অবস্থায় ক্লাস চলছিল। সরকার প্রথম দফায় রেজিস্টার স্কুলকে সরকারিকরণ করলেও সে তালিকায় এ বিদ্যালয়টি স্থান করে নিতে পারেনি। ২য় দফায় বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ করা হলেও শিক্ষকদেরকে এখনো জাতীয়করণ করা হয়নি। ফলে শিক্ষকরা বিনা বেতনে চরম দুরবস্থার মধ্যে স্কুল পরিচালনা করে যাচ্ছেন। এদিকে স্কুল গৃহের দুরবস্থার কথা বিবেচনা করে ক্ষুদ্র মেরামত সহায়তার টাকা, এনজিও ওয়ার্ল্ড ভিশনের সহযোগিতা, এসএমসি ও স্থানীয়দের সহযোগিতা নিয়ে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা ব্যয়ে ইটের গাঁথনির দু’কক্ষ বিশিষ্ট একটি টিনশেড ভবন নির্মাণ করা হয়েছে এবং এসএমসি ও স্থানীয়দের সহযোগিতা নিয়ে এক লক্ষ টাকা ব্যয়ে এক কক্ষ বিশিষ্ট আরেকটি ঘর নির্মাণের কাজ চলছে। সেখানে কোন রকমে ক্লাস পরিচালনা করা হলেও সেই পুরাতন গোলপাতার গৃহটি একেবারেই ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়লেও কক্ষ সংকটের কারণে সেটিতেও ক্লাস নিতে হচ্ছে। গৃহটি অর্ধেকাংশ ভেঙে পড়েছে, অধিকাংশ স্থানে বর্ষার পানি ভিতরে পড়ছে। কোন রকমে মাথা নিচু করে ঘরে ঢুকে শিক্ষার্থীরা ভিতরে বসে থাকে। যেকোন সময় গৃহটি মুখ থুবড়ে পড়তে পারে ছেলেমেয়েদের উপর। ১৮৭ জন ছাত্রছাত্রী নিয়ে ৪ জন শিক্ষক দীর্ঘ ১১ বছর বিদ্যালয়টি চালিয়ে আসলেও তারা চরম অসহায়ত্ববোধ করছে। অসচ্ছল ও দিনমজুর বেষ্টিত গুচ্ছগ্রাম/আদর্শগ্রাম নিয়ে গড়ে ওঠা স্কুল এরিয়ার মানুষের পক্ষে বিদ্যালয়টি টেনে নেওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন