মোবায়েদুর রহমান
বিশ্বরাজনীতিতেও পরিবর্তন ঘটে। বিশ্বরাজনীতির মেরুকরণেও পরিবর্তন ঘটে। এসব মেরুকরণে পরিবর্তন যে অনেক সময় ৩৬০ ডিগ্রি হয় সেটি আমার কাছে বিশ্বাস করতে খুব কষ্ট হচ্ছিল। সেই ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছিলাম মার্কিন-সোভিয়েট ঝগড়া। তখন পৃথিবীটা মোটামুটি দুইভাবে বিভক্ত ছিল। একদিকে আমেরিকা, আরেক দিকে সোভিয়েট ইউনিয়ন। স্কুল, কলেজ বা ইউনিভার্সিটিতেও যখন পড়ি তখনও জানতাম, আমেরিকার সাথে আছে ইংল্যান্ড (যুক্তরাজ্য), ফ্রান্স প্রভৃতি পারামাণবিক ক্ষমতাধর রাষ্ট্র। তখনও চীন, ভারত এবং পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে অ্যাটম বোমার অধিকারী হয়নি। তারপরেও বিশ্ব শিবিরে যে দুটি বিভক্তি ছিল তার একটির নেতৃত্বে ছিল আমেরিকা। আমেরিকার সাথে ছিল আনবিক ক্ষমতাধর বৃটেন এবং ফ্রান্স। এ ছাড়া পশ্চিম ইউরোপও মোটামুটি আমেরিকার সাথেই ছিল। তারা ন্যাটো (NATO) নামক একটি সামরিক চুক্তির অধীনে আবদ্ধ ছিল। এদের বিপরীতে ছিল সোভিয়েট ইউনিয়নের নেতৃত্বাধীন আরেকটি জোট। এই জোটে ছিল পূর্ব ইউরোপের কমিউনিস্ট রাষ্ট্রসমূহ। এসব দেশ ওয়ারস (WARSAW) নামক একটি সামরিক চুক্তিতে আবদ্ধ ছিল। ইউরোপের তৎকালীন কমিউনিস্ট রাষ্ট্র যুগোশ্লাভিয়া ওয়ারসতে ছিল না। যুগোশ্লাভিয়ার প্রেসিডেন্ট মার্শাল টিটো, ভারতের প্রধানমন্ত্রী প-িত জওহর লাল নেহরু এবং মিসরের প্রেসিডেন্ট কর্নেল জামাল আবদুন নাসেরের নেতৃত্বাধীন জোট নিরপেক্ষ দেশসমূহ আরেকটি জোট বাঁধে। এটিকে বলা হয় জোট নিরপেক্ষ সম্মেলন। এই জোট নিরপেক্ষ সম্মেলন মুখে মুখে জোট নিরপেক্ষ বললেও বাস্তবে তারা সম্পূর্ণভাবে সোভিয়েট ক্যাম্পে ছিল। গণচীনে কমিউনিস্ট বিপ্লব হওয়ার পরে প্রথম দিকে ‘কমিউনিস্ট কমিউনিস্ট ভাই ভাই’, এই রকম একটি ধারণায় সোভিয়েট ইউনিয়ন এবং গণচীন একই শিবিরে ছিল।
এই উপমহাদেশে ভারত সোভিয়েট ক্যাম্পে ছিল। পাকিস্তান মার্কিন ক্যাম্পে ছিল। আফগানিস্তান, ইরাক, সিরিয়া এবং ল্যাটিন আমেরিকার অধিকাংশ দেশ সোভিয়েট ক্যাম্পে ছিল। পক্ষান্তরে পাকিস্তান, তুরস্ক, ইরান, সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার ইত্যাদি দেশ প্রো-আমেরিকান ছিল। তখন দূরপ্রাচ্যের ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া প্রভৃতি দেশ সোভিয়েট ক্যাম্পে ছিল। পক্ষান্তরে জাপান ও ফিলিপাইন প্রো-আমেরিকান ছিল।
বিশ্ব রাজনীতিতে আজ যে পরিবর্তন সংঘটিত হয়েছে এবং আরো হতে যাচ্ছে সেটি দেখে বিস্মিত হতে হয়। বিশ্ব তখন দুটি শিবিরে বিভক্ত থাকলেও দুনিয়াব্যাপী আমেরিকার ছিল দোর্দ- প্রতাপ। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া তথা দূরপ্রাচ্যে ছিল সিয়াটো (SEATO) চুক্তি। এটি ছিল একটি সামরিক চুক্তি। এই চুক্তির সদস্য ছিল আমেরিকা, বৃটেন, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ফিলিপাইনস, থাইল্যান্ড, ফ্রান্স এবং পাকিস্তান। এটি স্বাক্ষরিত হয় ১৯৫৪ সালে। আরেকটি সামরিক চুক্তি ছিল মধ্যপ্রাচ্য বা পশ্চিম এশিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। এটির নাম ছিল বাগদাদ চুক্তি বা সেন্টো (CENTO) চুক্তি। এটি স্বাক্ষরিত হয় ১৯৫৫ সালে। এই চুক্তির সদস্য ছিল বৃটেন, ইরান, ইরাক, তুরস্ক ও পাকিস্তান। এ ছাড়াও দ্বিপাক্ষিক ভিত্তিতেও সামরিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সেটি হলো পাক-মার্কিন সামরিক চুক্তি। এটি স্বাক্ষরিত হয় ১৯৫৪ সালে।
সোভিয়েট ইউনিয়ন এবং আমেরিকার ¯œায়ুযুদ্ধ সামরিক সংঘর্ষে রূপান্তরিত না হলেও প্রকাশ্য রাজনৈতিক রূপ গ্রহণ করে এই উপমহাদেশের কাশ্মীর ইস্যুতে। বৃটিশরা ১৯৪৭ সালের ১৪ ও ১৫ আগস্ট ভারত বিভক্ত করে পাকিস্তান এবং ভারত নামে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম দিয়ে ইংল্যান্ডে ফিরে যায়। কিন্তু ভারতবর্ষে ছিল অনেকগুলো দেশীয় রাজ্য। এদের সম্পর্কে বলা হয় যে, তারা তাদের পছন্দ মতো ভারত বা পাকিস্তানে যোগদান করবে। এমনই একটি দেশীয় রাজ্য ছিল কাশ্মীর। কাশ্মীরে ছিল জম্মু, লাদাখ এবং আকসাই চীন। কাশ্মীরের মহারাজা ছিলেন হরি সিং। তিনি ছিলেন হিন্দু। কিন্তু কাশ্মীরের জনগণের ৮০ শতাংশের বেশি ছিলেন মুসলমান। মহারাজা হরি সিং জনগণের ইচ্ছার কোনো তোয়াক্কা না করে, যেহেতু তিনি হিন্দু ছিলেন, তাই ভারতে যোগদান করেন। কিন্তু সাধারণ মানুষ, যারা ৮০ শতাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ, তারা চান পাকিস্তানে যোগদান করতে। মাঝখানে কাশ্মীরে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শেখ আব্দুল্লাহ। তিনি ভারত ও পাকিস্তান কোথাও যোগদান না করে কাশ্মীরকে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে রাখতে চেয়েছিলেন।
উপমহাদেশের সবচেয়ে রক্তাক্ত ঘটনা ঘটে কাশ্মীরকে নিয়ে। দুবার কাশ্মীরের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধ হয়। প্রথমটি হয় ১৯৪৭-৪৮ সালে। দ্বিতীয় যুদ্ধটি হয় ১৯৬৫ সালে। এর পর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে পাক-ভারত যুদ্ধ হয় এবং ২০০৩ সালে সিয়াচেন হিমবাহকে কেন্দ্র করে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ হয়। তবে একাত্তর সালের বাংলাদেশ যুদ্ধ এবং ২০০৩ সালের সিয়াচেন যুদ্ধকে কাশ্মীর যুদ্ধ বলা যাবে না। যাই হোক, কাশ্মীর যুদ্ধ ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ হলেও বিষয়টি জাতিসংঘ পর্যন্ত গড়ায়। জাতিসংঘ দুই দফা হস্তক্ষেপ করে এবং কাশ্মীর ভারতে না পাকিস্তানে যাবে, সেটি নির্ধারণের ভার কাশ্মীরের জনগণের ওপর ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কাশ্মীরি জনগণ কীভাবে তাদের ইচ্ছা প্রকাশ করবে? এ জন্য জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে কাশ্মীরে গণভোট অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
কিন্তু ভারত গণভোটের প্রস্তাবে রাজি হয়নি। ফলে ১৯৬৫ সালে দুটি দেশ যুদ্ধ করতে করতে যে স্থানে এসে যুদ্ধবিরতি ঘোষিত হয় সেই স্থানে উভয় দেশের সৈন্যরা যে যেখানে অবস্থান করছিল সেটির ভিত্তিতে যুদ্ধ বিরতি রেখা নির্ধারিত হয়। এই যুদ্ধ বিরতি রেখাই হলো সেই বিখ্যাত নিয়ন্ত্রণ রেখা (Line of Control, LOK)। নিয়ন্ত্রণ রেখার ওই ধারে রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর, যে এলাকা দখল করেছিল ভারত এবং অপর রেখার এই ধারে যেসব স্থান দখল করেছিল পাকিস্তান, সেসব স্থানের নাম হয় আজাদ কাশ্মীর। এখন কাশ্মীর দুই ভাগে বিভক্ত। একদিকে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীর। এটি কাশ্মীরের দুই-তৃতীয়াংশ। অপর ধারে রয়েছে আজাদ কাশ্মীর। এটি কাশ্মীরের এক-তৃতীয়াংশ। আজাদ কাশ্মীরের এলাকা যেমন ছোট, অন্যদিকে তেমনি এটি পাহাড়পর্বত বেষ্টিত দুর্গম অঞ্চল। এটি সুজলা সুফলা নয়। পক্ষান্তরে ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের আয়তনও যেমন বড়, তেমনি এটি সুজলা-সুফলা। এটির অপূর্ব নৈসর্গিক শোভা সারা দুনিয়া থেকে পর্যটকদের কাশ্মীরে আকর্ষণ করে। তাই ভারতীয় কাশ্মীরের অপর নাম Paradise of the earth বা ভূ-স্বর্গ।
কাশ্মীর বিরোধ নিয়ে জাতিসংঘে যতবারই বিতর্ক হয়েছে ততবারই সমস্যা সমাধানে বাধ সেধেছে সোভিয়েট ইউনিয়ন। সকলেই জানেন যে জাতিসংঘের ৫টি স্থায়ী সদস্যের রয়েছে ভেটো পাওয়ার (Veto Power) প্রতিবার সোভিয়েট ইউনিয়ন নিঃশর্তভাবে দৃঢ় সমর্থন জানিয়েছে ভারতকে। প্রতিবার কাশ্মীরে গণভোট অনুষ্ঠানের প্রস্তাব উত্থাপিত হলে রাশিয়া ভেটো দিয়েছে। আমেরিকা প্রতিবার গণভোট অনুষ্ঠানকে সমর্থন দিলেও সেই প্রস্তাব কার্যকর করার জন্য আমেরিকা কিছুই করেনি। তখন গণচীন আজকের মতো অর্থনৈতিকভাবে পরাশক্তি হয়নি এবং রাজনৈতিকভাবেও আমেরিকা ও রাশিয়ার মতো দেশকে মোকাবেলা করার মতো অবস্থানে যেতে পারেনি।
১৯৬৪ সালের ১৬ অক্টোবর গণচীন আণবিক বিস্ফোরণ ঘটায় এবং বিশ্ব জেনে যায় যে, ৪টি শক্তি ছাড়াও এখন একটি পঞ্চম শক্তি পারমাণবিক শক্তির অধিকারী হলো। এর আগে পারমাণবিক শক্তি ছিল আমেরিকা, সোভিয়েট ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স। এবার নিউক্লিয়ার ক্লাবে অন্তর্ভুক্ত হলো চীন এবং স্বাভাবিকভাবেই দেশটি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হয়। এর ১০ বছর পর ১৯৭৪ সালের ১৮ মে পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভারত পৃথিবীর ষষ্ঠ পারমাণবিক শক্তির অধিকারী হয়। ১৯৮৮ সালের ১৮ মে পাকিস্তান নিউক্লিয়ার বোমা ফাটায় এবং বিশ্বের সপ্তম আণবিক শক্তি হিসেবে উত্থিত হয়।
চীন পারমাণবিক ক্লাবের সদস্য হওয়ার পর থেকেই বিশ্ব রাজনীতিতে আরেকটি মেরুকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। সেটি হয় গণচীনকে ঘিরে। কমিউনিস্ট কমিউনিস্ট ভাই ভাইÑ এই স্পিরিট রাশিয়া এবং চায়নার ভেতর থেকে অপসৃত হতে থাকে। শীঘ্রই দেখা যায় যে, চীন এবং রাশিয়া পরস্পর শত্রু রূপে রাজনীতির মঞ্চে খেলা করছে। এর আশু প্রতিক্রিয়া হিসেবে চীনকে ঘিরেও একটি তৃতীয় শক্তি তৈরি হতে থাকে। এর আশু সদস্য হয় পাকিস্তান এবং উত্তর কোরিয়া। তারপর ইতিহাস গড়িয়ে গড়িয়ে অনেক দূর গেছে। ভলগা থেকে গঙ্গা এবং টেমস থেকে হার্ডসন নদীর পানি অনেক ফ্লো করেছে। দজলা- ফোরাত দিয়ে অনেক পানি গড়িয়ে গেছে।
একটি সময় ছিল যখন সোভিয়েট ইউনিয়ন মধ্যপ্রাচ্যের একটি অংশের সরদার ছিল। সেই অংশভুক্ত দেশগুলো হলো জেনারেল করিম কাশেমের ইরাক, হাফিজ আল আসাদের সিরিয়া, নাসেরের মিসর, নেহরুর ভারত এবং বাবরাক কারমালের আফগানিস্তান। কিন্তু আজ পরিস্থিতি অনেক পাল্টে গেছে। ১৯৭৯ সালে সোভিয়েট ইউনিয়ন আফগানিস্তানে প্রত্যক্ষ হামলা চালায় এবং দেশটি দখল করে নেয়। সুদীর্ঘ ১০ বছর বীর আফগানরা সোভিয়েট ইউনিয়নের বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ চালায় এবং ১৯৮৯ সালে আফগানিস্তান সোভিয়েট দখলমুক্ত হয়। সেখানে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয় ইসলামপন্থি তালেবান। ১৯৭৯ সালে ইরানে আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেইনির নেতৃত্বে ইসলামী বিপ্লব সংঘটিত হয় এবং কট্টর মার্কিনপন্থি ইরানে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয় ইসলামপন্থি সরকার। যে দেশটিকে আমেরিকার দালাল বলা হতো সেই তুরস্কে ইসলামপন্থি এ কে পার্টি (জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি) ২০০৩ সালে জনগণের ভোটে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। এভাবে যুগের পর যুগ ধরে চলা প্রো-আমেরিকান দেশগুলোতে ইসলামপন্থি সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। এসব সরকার সোভিয়েট ইউনিয়ন এবং রাশিয়ার মধ্যে একটি নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখার চেষ্টা করে।
আগেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিশ্ব রাজনীতিতে রাশিয়ার দক্ষিণ হস্ত ছিল ভারত। সেই ভারত পরাশক্তি হওয়ার নেশায় ধীরে ধীরে আমেরিকার দিকে ঝুঁকে পড়তে শুরু করে। অবশেষে সেদিন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির ঢাকা সফর এবং ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মনোহর পারিকরের ওয়াশিংটন সফরকালে উভয় দেশের মধ্যে যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় তার ফলে দুটি দেশের মধ্যে সামরিক বাহিনীর আনাগোনা এবং সমরাস্ত্র সরবরাহ ও অন্যান্য সামরিক সহযোগিতার নতুন দিগন্ত খুলে গেছে। পর্যবেক্ষকদের মতে, এটিকে সামরিক চুক্তি বলা না হলেও এই চুক্তির মাধ্যমে দুটি দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা ঘনিষ্ঠ করার পথ উন্মুক্ত করা হয়েছে। ওইদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান রাশিয়া সফর করেছেন। পাকিস্তানের সাথে চীনের পূর্ণ সামরিক সহযোগিতা রয়েছে। এখন পাকিস্তান চীনের সাথে সখ্য বজায় রেখেও রাশিয়ার দিকে ঝুঁকে পড়ছে। অন্যদিকে ইরানও রাশিয়ার সাথে নানামুখী সহযোগিতা বৃদ্ধি করছে।
এসব দেখে মনে হচ্ছে যে, পৃথিবীর রাজনীতির সমীকরণ বদলে যাচ্ছে। নতুন সমীকরণ সৃষ্টি হচ্ছে। এই প্রক্রিয়ায় যদি রুশকেন্দ্রিক ভারত, ইরান ও তুরস্কের মধ্যে সহযোগিতার বলয় সৃষ্টি হয় এবং সেই বলয়ে যদি পাকিস্তানকেও প্রবেশ করতে দেখি তাহলে অবাক হব না। তবে মুসলিম জাহানের অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ দেশ যদি বৈশ্বিক রাজনীতিতে নতুন করে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে এবং সেই অবস্থান পরিবর্তনের কারণে (Realignment) যদি পরাশক্তি এবং বিশ্ব শক্তিসমূহের ভূমিকাও পরিবর্তিত হয়ে যায় তাহলে অবাক হব না। কারণ ইতোমধ্যেই নতুন সমীকরণ এবং নতুন মেরুকরণের আলামত স্পষ্ট হচ্ছে।
Email: journalist15@gmail.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন