তিস্তাসহ অভিন্ন ৫৪ নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের দাবিতে আজ শনিবার নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ করেছে "তিস্তা বাঁচাও আন্দোলন"। সংগঠনের পক্ষ থেকে সকাল ১১টায় বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নগরীর প্রেসক্লাব চত্বরে সমাবেশে মিলিত হয়।
তিস্তা বাঁচাও আন্দোলনের আহবায়ক সাবেক ছাত্রনেতা পলাশ কান্তি নাগ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তৃতা করেন অধ্যাপক আব্দুস সোবহান, শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের সদস্য সবুজ রায়, নিপীড়ন বিরোধী নারীমঞ্চের সদস্য সুলতানা আক্তার,শ্রমিক নেতা সালাউদ্দিন আহম্মেদ বাবু,সাংস্কৃতিক কর্মী নাসির সুমন প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তাগন বলেন, ভারত আন্তর্জাতিক নদী আইন লঙ্ঘন করে তিস্তাসহ অভিন্ন ৫৪ নদীতে বাঁধ-ব্যারেজ নির্মাণ করে একতরফাভাবে পানি প্রত্যাহার করছে। ভারতের পানি আগ্রাসনের কারণে বাংলাদেশের কৃষি-পরিবেশ-প্রকৃতি বিপন্ন দশায় পতিত হচ্ছে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ক্ষমতাসীন সকল শাসকগোষ্ঠীর ভারতের প্রতি নতজানু নীতির কারণে আমরা পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে ব্যর্থ হয়েছি। ভারত বাংলাদেশকে পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করে সুন্দরবনে প্রাণ-প্রকৃতি বিধ্বংসী রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মান সহ নানা অন্যায্য সুযোগ-সুবিধা আদায়ে তৎপর রয়েছে।
বক্তারা বলেন, তিস্তাসহ অভিন্ন ৫৪ নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে সরকারের আলোচনা উত্থাপন করা উচিত। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উৎসবের পূর্বেই তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে সরকারকে সব ধরণের তৎপরতা অব্যাহত রাখতে হবে।
উত্তরবঙ্গ তথা বাংলাদেশকে মরুকরণের বিপদ থেকে রক্ষা করতে তিস্তাসহ অভিন্ন ৫৪ নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের বিকল্প নেই। সমাবেশ থেকে সুনামগঞ্জের শাল্লায় সাম্প্রদায়িক হামলার নিন্দা ও দোষীদের বিচারের দাবি জানানো হয়। সেইসাথে ভারতের পানি আগ্রাসন নীতির বিরুদ্ধে সর্বস্তরের দেশপ্রেমিক জনগণকে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানানো হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন