লিচুতে ভরপুর দিনাজপুর। বর্তমানে গাছে গাছে ঝুলছে লিচুর মুকুল। মুকুলগুলিতে মৌমাছিরা মধু সংগ্রহ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। মধু সংগ্রহে আরো বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন খামারিরা। দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকায় শতাধিত খামারি শত শত বাক্স নিয়ে বাগানগুলিতে পসরা সাজিয়েছে। লিচুর স্বাদের এই সব মধু সুস্বাদু হওয়ায় জেলা ও জেলার বাইরে বেশ চাহিদা রয়েছে। চলতি লিচু মৌসুমে দিনাজপুরেই ৫ থেকে ৬ টন মধু আহরণের আশা করছে খামারিরা। বিসিকসহ বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠন উদ্যোক্তা তৈরিতে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।
লিচুর জেলা দিনাজপুর। এ জেলার ছোট-বড় সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে লিচুর বাগান রয়েছে। বর্তমানে সব বাগানে লিচুর মুকুলে ছেয়ে গেছে। আর এই সব মুকুলকে কাজে লাগিয়ে খামারিরা মৌমাছির মাধ্যমে মধু আহরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
বিভিন্ন জেলা থেকে ৩শ’ থেকে ৪শ’ মৌ খামারি বাগানগুলোতে মধু সংগ্রহের জন্য মৌমাছির বাক্স স্থাপন করেছেন।
এই সব মধু গুনগত মান ভালো থাকায় দেশের বাজারে বেশ চাহিদা রয়েছে। পুরো মার্চ মাস জুড়ে মধু সংগ্রহ করবে মৌ চাষিরা। দিন দিন খামারির সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে। তবে সরকারি সহযোগিতা পেলে খামারিরা আরো ব্যবসা বৃদ্ধি করতে পারবে বলে মনে করেন অনেক উদ্যোক্তা।
স্বাস্থ্য সম্মতভাবে হাতের স্পর্শ ছাড়াই আধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে এই সব লিচুর বাগান থেকে মধু উৎপাদন করা হচ্ছে। বেকার ও শিক্ষিত যুবকদের উদ্যোক্তা তৈরিতে প্রশিক্ষণসহ সহযোগিতা প্রদান করছে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠন।
প্রতি বছর এ জেলা থেকে ৪ থেকে ৫ হাজার মেট্রিক টন লিচু ফুলের মধু উৎপাদন হয় এবং প্রতি কেজি মধু বিক্রি হয় ৫শ’ থেকে ৬শ’ টাকা দরে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন