লোহাগাড়ায় পাহাড়ি কবরস্থান কেটে দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার পুটিবিলার গোরস্থান নয়াপাড়ার মন্ডলিয়া পাহাড় এলাকায় এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। স্থানীয় ইউপি সদস্য হাজী মো. খানে আলম এবং তার দুই ভাই জানে আলম ও সাইদী আলম প্রভাব খাটিয়ে পুরনো কবরসহ কবরস্থানের পাহাড়ি জায়গা কেটে ফেলেছেন বলে স্থানীয়রা জানান। এ ব্যাপারে স্থানীয়রা ইউএনও বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
সরেজমিনে জানা যায়, পুটিবিলা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে শাহ জব্বারিয়া এতিমখানা, হেফজখানা ও মসজিদ মন্ডলিয়া পাহাড়ে অবস্থিত। দীর্ঘদিন ধরে ওই পাহাড়ি জায়গা মাদরাসা-মসজিদের দখলীয় সম্পত্তি হিসেবে রয়েছে। মসজিদ ও মাদরাসা সংলগ্ন ওই জায়গা পশ্চিমপাড়া, দক্ষিণপাড়া, উত্তরপাড়া, মাঝেরপাড়া ও সিকদারপাড়াসহ ৭/৮টি পাড়ার মুসলমানরা করবস্থান হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। গত ৩-৪দিন ধরে হঠাৎ করে স্থানীয় ওই ইউপি সদস্য ও তার দুই ভাই প্রভাব খাটিয়ে জোর করে পাহাড়ি কবরস্থানের মাটি কেটে পুরনো কবর বিলীন করে ফেলায় স্থানীয়দের মাঝে চরম উত্তেজনা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
শাহ জব্বারিয়া এতিমখানা, হেফজখানা ও মসজিদ কমিটির সভাপতি হাজী ওমর আলী ক্ষোভের সাথে জানান, দীর্ঘদিনের পুরনো কবরস্থানের কিছু অংশে গত কয়েকদিন ধরে মেম্বারের লোকজন মাটি কেটে দখল করছেন। এতে কবরগুলো বিলিন হয়ে যাচ্ছে। কবরস্থানের সৌন্দর্য্য ও পবিত্রতা নষ্ট হচ্ছে। স্থানীয়দের মাঝে এনিয়ে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। তিনি কবরস্থান ও মসজিদের সম্পত্তি রক্ষার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
ইউপি সদস্য হাজী মো. খানে আলম জানান, কবরস্থান দখলের অভিযোগ সত্য নয়। তার নিজ দখলীয় পাহাড়ি কবরস্থানের অংশ অসমান হওয়ায় কেটে সমান করেছেন বলে তিনি জানান।
লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসানা হাবীব জিতু জানান, এ ব্যাপারে স্থানীয়দের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন