মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ভূমি নিয়ে প্রতারণা, টাকা আত্মসাৎ ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী থেকে রক্ষাপেতে সংবাদ সম্মেলন করেছে একটি পরিবার। সিরাজদিখান প্রেসক্লাবে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলার ইছাপুরা গ্রামের হাজী মো. খলিল হাওলাদারের ছেলে মৎস্যচাষি মো. আব্দুল কুদ্দুস হাওলাদার (৫২)। তিনি তার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করেছেন। এ সময় তার পরিবারের সদস্যসহ প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে আব্দুল কুদ্দুস তার বক্তব্যে বলেন, তিনি দীর্ঘ ৪ বছর ধরে হয়রানী হয়ে আসছেন একই গ্রামের মৃত মতিউর রহমানের মেয়ে মরিয়ম আক্তার (৫৫)-এর প্রতারণায়। এলাকার চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্যদের মাধ্যমে গত ২ বছরে ৮/১০ বার সালিশেও কোন লাভ হয় নাই। পুকুরসহ ৮১ শতাংশ জমি দেয়ার কথা বলে ৩৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে সরকারের সম্পত্তি লিখে দেয়। পরে ঝামেলা হলে টাকা ফেরৎ দেয়ার জন্য ২৪ লাখ টাকার চেক দেয়। চেকে টাকা না পেয়ে মহিলার বিরুদ্ধে তিনি আদালতে মামলা করেন। সালিশগনের মাধ্যমে ২৫ শতাংশ জায়গা মেপে ৬টি খুঁিট দিয়ে সিমানা দেন, সেই জায়গায় ঘর তুলতে গেলে মরিয়ম মামলা করেন। মিথ্যা মামলা, মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে মানহানী করছে মরিয়ম ও তার ছেলে ফাহিম। তাদের টাকা দিয়ে উপকার করে আজ নানাভাবে হয়রানী হচ্ছি এ থেকে কিভাবে পরিত্রান পাবো। কারণ তারা কাউকে মানে না, এমনাটা বলেন আব্দুল কুদ্দুছ।
এ ব্যাপারে মরিয়ম আক্তারের ছেলে ফাহিম হোসেন জানান, আমাদের সরলতার সুযোগে সে এসব করছে। তার নিকট আমরা কোন সরকারি জমি বিক্রি করি নাই। সমিতির মাধ্যমে প্রায় ৭ লাখ টাকা আমরা নিয়েছি সেটা তাকে দিয়েছি। সে দুটো মামলা করেছে তা চলমান আছে। চেক দিয়েই তো আমরা ফেঁসে গেছি।
ইউনিয়ন আ.লীগ সভাপতি মো. সুমন মিয়া জানান, কুদ্দুছ হাওলাদার টাকা পায়, টাকা দিতে না পেরে জমি লিখে দেয়। পরে ঝামেলা হলে মরিয়ম আমাদের কাছে আসে, আমরা ৩৩ লাখের পরিবর্তে কিছু জমি দিতে বলি তাও দেয় নাই। পরে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন হাওলাদার মিমাংসা করে ২৫ লাখ ফেরৎ দিতে বলে তাও দেয় নাই। এখন আদালতে মামলা চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন