ভোলার জেলার লালমোহন উপজেলার ফুলবাগিচা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবদুল্যাহ আল মামুনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে বদরপুর ইউনিয়নের দেবীরচর বাজারের চিহ্নিত মাদক কারবারী, ইভটেজার,সন্ত্রাসী মঞ্জু মেলকার সহ আরো কয়েকজন সন্ত্রাসী। শিক্ষক মামুন বদরপুর ইউনিয়নের বগীরচর গ্রামের আলহাজ্ব হাবিব উল্যাহ মাস্টারের ছেলে।
ঘটনার সূত্রে জানা যায় ২৪ মার্চ সন্ধ্যার পর শিক্ষক মামুন দেবীরচর বাজার পশ্চিম মাথা মনির খলিফার দেকানের সামনে দিয়ে হেটে যাচ্ছিল। মামুনের উপর হঠাৎ অতর্কিত ভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মঞ্জু মেলকার, বেলাল, সাকিল সহ আরও ৪/৫জন সন্ত্রাসী।
। সেখানে মামুনের মাথায় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে কোপ মারে সন্ত্রাসী মঞ্জু মেলকার। মামুন মাথা সরিয়ে নিলেও তার মাথায় কোপ লাগে। পরে সন্ত্রাসীরা তাকে বেদম মারধর করে, মামুনের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা আহত মামুনকে লালমোহন হাসপাতালে পাঠায়। লালমোহন হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার মামুনকে এক্সরে করান এবং বলেন মাথার আঘাত মোটামুটি গুরুতর। এক্সরে রিপোর্টে মনে হচ্ছে মাথার ভিতরে আঘাত লেগেছে। শিক্ষক মামুনের আহতের ঘটনা শুনে লালমোহন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিন আহমেদসহ স্থানীয় বদরপুর ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ নেতৃবৃন্দ হাসপাতালে তাকে দেখতে যান। এসময় ডাক্তারের সাথে মামুনের আঘাত ও শারীরিক অবস্থার খোজ খবর নেন উপজেলা চেয়ারম্যান অধক্ষ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ। এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন মঞ্জু মেলকার এর আগে একটি মেয়েকে ইভটিজিং করায় শিক্ষক মামুন বাধা দিয়েছিল। তখন পুলিশ মঞ্জু মেলকারকে গ্রেফতার করেছিল এবং তার এক বছরের সাঁজাও হয়েছিল। ৬ মাস জেল খেটে সে জামিনে বের হয়ে এসে শিক্ষক মামুনের উপর প্রতিশোধ নিল বলে মনে হচ্ছে।
শিক্ষক মামুনের শ্বশুর দেবীরচর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বজলুর রহমান বলেন, মঞ্জু মেলকার এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। সে এলাকায় গাঁজা, ইয়াবা বিক্রি, অন্যের জমি জোড় করে দখলসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত। এ ব্যাপারে মঞ্জু মেলকারগংদের বিরুদ্ধে আমরা লালমোহন থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন