শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

নারী সদস্যকে জুতাপেটা করলেন চেয়ারম্যান

ঈশ্বরগঞ্জ(ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১০:৩১ এএম

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে এক নারী সদস্যকে চুলের মুঠি ধরে জুতাপেটা করলেন ইউপি চেয়ারম্যান। বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ওই নারী সদস্য বাদী হয়ে চেয়ারম্যানের বিচার চেয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।


স্থানীয় লোকজন ও লাঞ্চিত ওই নারী সদস্য সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৯ নং উচাখিলা ইউনিয়ন পরিষদে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশেষ এক সভা ডাকেন চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হাসান খান সেলিম। সভায় পরিষদের ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের নারী সদস্য রোকসানা খাতুন অপর এক সদস্য রফিকুল ইসলাম রাকিবুলকে মোবাইলে বিভিন্ন ভাষায় গালাগাল করার বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। এই ঘটনার বিচার চান রাকিবুল। পরে সকল ইউপি সদস্যদের উপস্থিতিতে চেয়ারম্যান সেলিম খান নারী সদস্য রোকসানাকে ভৎর্সনা করেন এবং ক্ষমা চাইতে বলেন। এ সময় রোকসানা একতরফা তাকে দোষারোপ না করার জন্য চেয়ারম্যানকে বলেন। এতে চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে সকলের সামনেই তার চুলের মুঠি ধরে পায়ের জুতা খুলে পিটিয়ে আহত করে।
এসময় ওই নারী সদস্যের লোকজন ও চেয়ারম্যানে লোকজন মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে থামিয়ে দেয়। এমন অবস্থায় ওই নারী সদস্য চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে থানায় এসে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।


ঘটনার সময় উপস্থিত ইউপি সদস্য আবুল বাসার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, একজন চেয়ারম্যান এভাবে একজন নারী সদস্যাে মারধর করা খুবই লজ্জাজনক। ঘটনার পর লজ্জায় সভা শেষ না করেই আমরা বের হয়ে যাই।

নারী সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম রাকিবুল বলেন, আমি তো চেয়ারম্যান সাহেবকে এভাবে মারতে বলিনি। আমি শুধু বিচার চাইছিলাম। এখন তো লজ্জা লাগছে।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য রোকসানা বলেন, চেয়ারম্যান আমার চুলের মুঠি ধরে জুতা দিয়ে পেটায়। এ ঘটনার পর তার লোকজন আমার দিকে তেড়ে আসে। পরে আমি অনেকের সহযোগিতায় প্রাণে রক্ষা পাই। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিতে আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হাসান খান সেলিম বলেন, আমি কোনো মারধর করিনি। এক মেম্বারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিশেষ সভা ডেকে তাঁকে (রোকসানা) শাসন করেছি মাত্র। এ সময় সে উত্তেজিত হয়ে আমাকে মারতে আসে। তাছাড়া ওই মেয়েটি নেশাখোর। অনেক মেম্বারের সাথে সে খারাপ ব্যবহার করে আসছে।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ পীরজাদা শেখ মোহাম্মদ মোস্তাছিনুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন