চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার কালাবিবি দীঘি মোড় এলাকার একটি মৎস্য আড়তে অভিযানে গিয়ে লাঞ্চিত হয়েছে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা। বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) সকালে কালাবিবি দীঘির মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তানভীর হাসান চৌধুরী গিয়ে মোহাম্মদ শাহেদুল আলমের এবিসি মৎস্য আড়ত সিলগালা করে বন্ধ করে দেন।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে যায়, সকালে উপজেলা মৎস্য অফিসের নির্দেশে সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা জাহেদ আহমদ ও অফিস সহকারী এমানুল হকসহ মৎস্য অফিসের কয়েকজন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেলে জেলি যুক্ত চিড়িং মাছ ধরতে অভিযানে যান উপজেলার কালাবিবি দীঘি মোহাম্মদ শাহেদুল আলমের এবিসি মৎস্য আড়তে। এসময় শাহেদ ও তার লোকজন মৎস্য কর্মকর্তাদের মারধর ও টাকা চেয়েছে বলে হুমকি দিয়ে লাঞ্চিত করে আড়ত থেকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন।
ঘটনার পর দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জোবায়ের আহমেদ তাঁর কার্য্যলয়ে অভিযুক্ত এবিসি মৎস্য আড়তের মালিক শাহেদুল আলমকে ও লাঞ্চিত মৎস্য আড়তের কর্মকর্তাদের ডেকেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ঘটনার বিস্তারিত দু’পক্ষের মুখে শুনেছি এবং একজন অফিসারকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মৎস্য আড়ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত পত্রিকার সূত্রে জানা যায়, সামুদ্রিক মাছে বিষাক্ত রং মেশানোর অভিযোগও উঠে এ আড়তের শাহেদের বিরুদ্ধে। এবিসি নামে মৎস্য আড়তে রং মেশানো পানিতে ডুবিয়ে উচ্চমূল্যে বিক্রির জন্য রাখা হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ। মাছের কানসায় লাগিয়ে দেওয়া হয় কাপড়ে ব্যবহৃত লাল রং। এসব মাছ বিক্রির জন্য রাখা হচ্ছে ঝুড়িতে। এসব অভিযোগ ছাড়াও জেলিযুক্ত চিড়িং মাছও জব্দ করে মৎস্য অফিস।
এবিসি মৎস্য আড়তদার মোহাম্মদ শাহেদুল আলম বলেন, আমার আড়তে জেলিযুক্ত চিড়িং মাছ না থাকার পরেও। মৎস্য কর্মকর্তারা অভিযান চালানোর চেস্টা করে। এসময়ে আড়তে লোকজন তাদের বের করে দেয়।
এবিষয়ে জ্যেষ্ঠ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. রাশিদুল হক বলেন, এ ঘটনায় আমরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়কে জানিয়েছি। এ ঘটনায় যেটা সিদ্ধান্ত দিবেন আমরা সেটায় করব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন