চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে পুলিশের সাথে মুসল্লিদের সংঘর্ষের চার জন মারা গেছেন। শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিক্ষোভ মিছিল বের করে তারা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হন। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চারজন মারা যান বলে পুলিশ জানিয়েছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, আহত অনেককে হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়া চারজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। তাদরে নাম–পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
হেফাজত নেতা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, পুলিশ বিনা উস্কানিতে গুলি করে চার হেফাজত কর্মীকে শহীদ করেছে। অনেকে এখনও হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়ছে। চমেক হাসপাতালসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় হেফাজতের কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
তার আগে বাদজুমা মিছিল শুরু হলে পুলিশ তাতে হামলা চালায়। এসময় সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ গুলি ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করেছে। এসময় বিক্ষুদ্ধ জনতা থানা ভবনসহ কয়েকটি সরকারি ভবনে ভাঙচুর ও সড়ক অবরোধ করে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেদ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে ঘিরে বৃহস্পতিবার ঢাকার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ এলাকায় ইসলামি দলের মিছিলে পুলিশী হামলার প্রতিবাদে বাদ জুমা হাটহাজারী মাদরাসার শিক্ষার্থী ও মুসল্লিরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সহস্রাধীক জনতার মিছিলটি প্রধান সড়কে থানা এলাকায় গেলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। এসময় দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মুসল্লিদের অভিযোগ পুলিশ মিছিলে গুলি করেছে। তাতে কমপক্ষে ছয়জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো অনেকে। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে রক্তাক্ত আহতদের কিরশা ও ভ্যানে করে হাসপাতালে নিতে মুসল্লিদের ছুটোছুটি করতে দেখা যায়। হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী অভিযোগ করেন পুলিশ শান্তিপূর্ণ মিছিলে বিনা উস্কানিতে গুলি করেছে। এতে ছয়জন ছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়েছে তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ছাত্র এবং মুসল্লিরা ঢাকায় মিছিলে পুলিশী হামলার প্রতিবাদে এই মিছিল বের করেন। গুলির প্রতিবাদে মুসল্লিরা বিক্ষুদ্ধ হয়েছেন।
তবে জেলা পুলিশের হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাদাত হোসেন সাংবাদিকদের জানান, মিছিলকারীরা আকস্মিক থানায় ভবনে হামলা করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে কাজ করেছে। কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি চালিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করা হয়েছে। পুলিশ জানায় ছাত্ররা থানার সামনে গিয়ে হঠাৎ ইট পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। তাদের ছোঁড়া ইট-পাথরের টুকরায় থানার সামনের কাচের দরজা ভেঙে যায়। বিভিন্ন আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন