মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ০৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

নেই সাব রেজিস্ট্রার : ভোগান্তিতে কুষ্টিয়াবাসী

এস এম আলী আহসান পান্না, কুষ্টিয়া থেকে | প্রকাশের সময় : ২৮ মার্চ, ২০২১, ১২:০২ এএম

কুষ্টিয়ার ৪ উপজেলায় সাব রেজিস্ট্রার না থাকায় ভোগান্তি চরমে উঠেছে। কুষ্টিয়ার দৌলতপুর, মিরপুর, ভেড়ামারা ও খোকসায় দীর্ধদিন ধরে সাব রেজিস্ট্রার নেই।
জানা যায়, সাব রেজিস্ট্রার না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এ অফিসে আসা শত শত মানুষ। এতে এই অফিসের বিভিন্ন কর্মকান্ডের সাথে জড়িত দলিল লেখক, নকলনবিসসহ শতাধিক মানুষ এখন বেকার হয়ে পড়েছে। থমকে গেছে সাব রেজিস্ট্রি অফিসে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড। একদিকে সরকার যেমন প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে শতশত জমির দলিল রেজিস্ট্রি করার অপেক্ষায় দলিলের স্তুপ জমে মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছে যাচ্ছে।
কুষ্টিয়া জেলা রেজিস্ট্রার প্রভাকর সাহা জানান, কুষ্টিয়া জেলায় ৬টি উপজেলা। এরমধ্যে ৪ উপজেলায় সাব রেজিস্ট্রার নেই। দৌলতপুর উপজেলায় ৩ মাসের অধিক, মিরপুরে ১ বছরের অধিক, ভেড়ামারায় ৬ মাসের অধিক ও খোকসা উপজেলায় দেড় বছরের বেশি সময় ধরে সাব রেজিস্ট্রার নেই। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার সাব রেজিস্ট্রার সুব্রত কুমার সিংহ রয়েছেন। তিনি কুষ্টিয়া সদরে ২-৩ দিন ডিউটি করেন। আর ১ দিন করে মিরপুর ও ভেড়ামারায় দায়িত্ব পালন করেন। কুমারখালীর সাব রেজিস্ট্রার মকসু মিয়া কুমারখালীতে ২-৩ দিন ডিউটি করেন। সপ্তাহে ১ দিন খোকসায় ও দৌলতপুরে দায়িত্ব পালন করেন। কোনো কারণবশত যেতে না পারলে সেদিন কোনো দলিলই রেজিস্ট্রি হয় না। তিনি আরো জানান, ৬ উপজেলার সাব রেজিস্ট্রি অফিসে সাড়ে ৪ হাজার দলিল রেজিস্ট্রি হতো। সেখানে এখন প্রতি মাসে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার দলিল হয়। এতে সরকার প্রতি মাসে কয়েক কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
দলিল লেখকরা জানায়, সাব রেজিস্ট্রার না থাকায় আমরা এখন বেকার হয়ে পড়েছি। অনেকেই রয়েছেন যারা জমি বিক্রি করে মেয়েকে বিয়ে দেয়। আবার অনেকেই জমি বিক্রি করে বিদেশে তার সন্তানকে পাঠান। কেউ আবার জমি বিক্রি করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসায় ব্যয় করান। কিন্তু সাব রেজিস্ট্রার না থাকায় এসব লোকেরাও চরম বিপাকে পড়েছে। বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতির নেতৃবৃন্দ জানান, দীর্ঘ দিন ধরে এখানে সাব রেজিস্ট্রার নেই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন