রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের কুশাহাটা চরের হাজারো মানুষ শিক্ষা, চিকিৎসা, স্যনিটেশন, বিশুদ্ধ পানিসহ সব ধরনের নাগরিক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এই গ্রামটি দুর্গম চর হবার কারণে এখানে পৌঁছায়নি রাষ্ট্রের কোনো সুযোগ সুবিধা।
জানা যায়, কুশাহাটা চর দৌলতদিয়া ইউনিয়নের একটি অংশ। দৌলতদিয়া ফেরিঘাট থেকে ৭ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে পদ্মা নদীর মাঝে অবস্থিত। যেখানে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম নৌকা। এ চরে ১৫০টি পরিবার বাস করে। কৃষি আর মাছ ধরা এখানকার মানুষের প্রধান পেশা। গ্রামটিতে নেই কোনো হাট-বাজার। কেনাকাটা করতে যেতে হয় মানিকগঞ্জের আরিচা, পাবনার কাজিরহাট আর রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ও দৌলতদিয়া বাজার। কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ থাকায় ফসলের নায্য দামও পায় না এখানকার কৃষকরা। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সেবা থেকেও বঞ্চিত এখানকার মানুষ। অত্যান্ত দরিদ্র এই পরিবারগুলো শিক্ষা, স্বাস্থ্য, স্যানিটেশনসহ সকল নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পরা চরবাসীর মধ্যে আধুনিকতার ছোঁয়া পড়েনি।
স্থানীয় কাওছার জানান, বড় বোনের বাড়ি থেকে ৪র্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছি। এরপর নিজের বাড়িতে আসার পর ইচ্ছা থাকলেও পড়ালেখা করা হয়নি। কারণ এই চরে কোনো বিদ্যালয় নেই। এখন সংসারের কাজ করেই দিন কাটে কাওছারের। কাওছারের মতো কুশাহাটা চরের হুদয়, মিম, আমবিয়া, সাকিবসহ অন্য শিশুদের গল্পও একই। বিদ্যালয়ের অভাবে এখানকার শিশুরা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে আমরা মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি লিখেছি। শিগগির একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হবে বলেও তিনি জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন