পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা শাহাদাত হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় নগরীর পাঁচলাইশ ট্রিটমেন্ট হাসপাতাল থেকে তাকে নিয়ে যায় পুলিশ। মহানগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ইদ্রিস আলী জানান শাহাদাত হোসেনকে পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে।এর আগে মহিলা দল নেত্রী মনোয়ারা বেগম মনিসহ ১৪জনকে গ্রেফতার করা হয়।
বিকেলে নগরীর কাজির দেউড়ি এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। সেখানে পুলিশসহ আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক নেতা কর্মী।
বিএনপির নেতাদের অভিযোগ পুলিশ বিনা উস্কানিতে মিছিলে গুলি করেছে। তবে পুলিশ এমন অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে তারাই পুলিশের উপর হামলা ও ভাঙচুর করেছে। নগর বিএনপির নেতা ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, বিকেলে কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসাবে মিছিল বের করে বিএনপি। চিটাগাং ক্লাব ও আলমাস সিনেমা হলের সামনে থেকে বড় দুটি মিছিল বের হয়। মিছিল দুটি কাজির দেউড়ি মোড়ে আসতেই পুলিশ নেতাকর্মীদের উপর ব্যাপক লাঠি চার্জ শুরু করে। এসময় পুলিশের শর্ট গানের গুলিতে অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানান বিএনপি নেতা আবু সুফিয়ান।
এসময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। গাড়ি ভাঙচুর করে কর্মীরা। হামলায় নেতাকর্মীরা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এসময় কাজির দেউড়ি ও নাসিমন ভবনের বিএনপি কার্যালয় এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
কোতোয়ালি থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন জানান, বিএনপির মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলা হয়। তারা মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট এবং টিয়ার সেল ছুঁড়ে। তবে কত রাউন্ড রাবার বুলেট এবং টিয়ার সেল ছুঁড়া হয়েছে তার হিসাব চলছে। ঘটনাস্থল থেকে ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন