দুপচাঁচিয়া উপজেলা পরিষদ
মো. গোলাম ফারুক, দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) থেকে
দুপচাঁচিয়া উপজেলা পরিষদে জরাজীর্ণ ভবনের ৪টি দফতরে ঝুঁকি নিয়ে দাফতরিক কাজকর্ম চলছে। গত ১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সরেজমিনে উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ ভবন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ভবন, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা ভবন ও উপজেলা পরিসংখ্যান ভবনগুলোর অবস্থা করুণ। দীর্ঘদিন মেরামত ও সংস্কার না করায় ভবন ৪টির বিভিন্ন স্থানে প্লাস্টার উঠে গেছে। অনেক জায়গায় ফাটলও ধরেছে। ভবন ৪টির মধ্যে দোতালায় অবস্থিত কৃষি সম্প্রসারণ ভবনের অবস্থা সবচেয়ে করুণ। এই অফিসের ৪টি কক্ষের মধ্যে উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসারের কক্ষ ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কক্ষের দেওয়ালে ফাটল ধরেছে। ছাদের প্লাস্টার খসে পড়ছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই ছাদের বিভিন্ন স্থান দিয়ে পানি পড়ছে। আকাশে মেঘ করলেই অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা টেবিলে রাখা মূল্যবান কাগজপত্র প্লাস্টিক বা প্যানা ব্যানার দিয়ে ঢেকে রাখে। এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল হোসেন “দৈনিক ইনকিলাব”-কে জানান, স্বাভাবিকভাবেই অফিসে কাজকর্ম করা যায় না। মাঝে মধ্যেই কক্ষের প্লাস্টারগুলো ঝরঝর করে মাথায় ও কাগজের উপর পড়ে। বৃষ্টি এলে তো কথাই নেই। সকল কাজকর্ম বন্ধ করে ফাইল গোছানো নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়তে হয়। এব্যাপারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল গনি ম-ল জানান, দীর্ঘদিনের পুরানো এই দ্বিতল ভবনটি ভেঙে উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের দরপত্র অনুমোদন হয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ ভবনটি ভাঙার কোনো অনুমতি না পাওয়ায় কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণে বিলম্ব ঘটছে। তবে অচিরেই এ সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন