ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, কওমী মাদরাসার বিরুদ্ধে একটি ইসলামবিদ্বেষী চক্র সিন্ডিকেভিত্তিক অপপ্রচার চালাচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় কওমী মাদরাসায় রক্ষিত কোরবানির পশু জবাইয়ের ছুরিগুলোতে নাশকতার গন্ধ খুঁজতে কতিপয় মিডিয়া অপরিণামদর্শি খেলায় মেতে উঠেছে।
কওমী মাদরাসায় আলোকিত মানুষ তৈরি হয়। এসব ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসী ও উগ্রবাদীদের খোঁজার নামে কোনো প্রকার হয়রানি বরদাশত করা হবে না। এক বিবৃতিতে পীর সাহেব বলেন, মানিকগঞ্জ পাবনা, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন জায়গায় ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের হয়রানি ও গ্রেফতারের সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে। তিনি অবিলম্বে ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীসহ আলেম-ওলামাদের হয়রানি বন্ধের দাবি জানান।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, পাবনা জেলার একটি কর্মশালা থেকে দলের নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল হক আজাদ, যুগ্ম মহাসচিব আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম, সহকারি সংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরীসহ পাবনা জেলা সভাপতি, সেক্রেটারীসহ ১১জনকে আটক ও হয়রানির নিন্দা জানাচ্ছি। তিনি বলেন, নাশকতার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত করে নিশ্চিত না হয়ে যে কোন নিরীহ নেতাকর্মী ও মাদরাসার ছাত্র শিক্ষকদের বিরুদ্ধে হয়রানি বন্ধ করতে হবে। বিগত ২৬ মার্চ থেকে সারাদেশে নিহত ও আহতদের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপুরণ দিতে হবে। নাশকতার সাথে সরকার দলীয় লোকজনসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। সেইসাথে ইসলামী আন্দোলনের যাদেরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না তাদের খুঁজে বের করে আনতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন