শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

মির্জাগঞ্জে তরমুজের বাম্পার ফলন

মেহেদী হাসান মুবিন, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) থেকে | প্রকাশের সময় : ৪ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০২ এএম

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে গত বছরের চেয়ে তিনগুণ বেশি আবাদ হয়েছে তরমুজ। উপজেলার বিভিন্ন ক্ষেতগুলোতে তরমুজের ব্যাপক সমারোহ। আকার বড় ও ফলন ভালো হওয়ায় ফসল তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। তরমুজের বাম্পার ফলন হওয়ায় হাসি ফুটেছে চাষিদের মুখে। স্থানীয় বাজারগুলোতে তরমুজ বেচাকেনা জমে উঠেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার দক্ষিণ মির্জাগঞ্জ গ্রামে বিস্তীর্ণ চর জুড়ে রয়েছে তরমুজের ক্ষেত। ইতোমধ্যে ক্ষেত থেকে তরমুজ তুলে পাইকারী ও খুচরা বিক্রি শুরু করেছেন চাষিরা। উপজেলার পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামে বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে রয়েছে কৃষকদের কর্মব্যস্ত। কৃষকরা রয়েছেন খোশ মেজাজে। বাম্পার ফলন হয়েছে এখানে। তরমুজ আবাদের মধ্য দিয়ে গত বছরের করোনার ধকল কাটিয়ে উঠছেন কৃষকরা। তবে সবকিছু ঠিক থাকলে তরমুজ চাষে তিনগুন লাভবান হবে বলে স্থানীয় কৃষকরা।

দক্ষিণ মির্জাগঞ্জের তরমুজ চাষি হাবিব তালুকদার জানান, প্রায় ৩ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। এ বছর আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েক হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করেছি। দুইদিন আগে দুপুরের পর পূর্ণিমার জোয়ারের পানিতে আমার পুরো ক্ষেত ডুবে গেছিল। পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামের কৃষক মো. ইউসুফ হাওলাদার জানান, প্রায় ৪ মাস আগে ৪ একর জমিতে তরমুজ চাষ শুরু করেন। ক্ষেতে খুব ভালো ফলন হয়েছে। এ পর্যন্ত আমার ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখন পুরো ক্ষেতের তরমুজ ৫-৬ লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারবো।

সুবিদখালী বাজারের তরমুজ ব্যবসায়ী মো. আব্বাস উদ্দিন জানান, গত বছর করোনাকালীন সময়ে তরমুজ বাজারে বিক্রি করতে পারেনি। এবারে তরমুজের ফলন ভালো হয়েছে। দামও চড়া। চাষিদের কাছ থেকে গড়ে প্রতিটি তরমুজ ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় কিনেছেন। স্থানীয় বাজারে তা আকার ভেদে বিক্রি করা হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আরাফাত হোসেন জানান, উপজেলায় তরমুজ আবাদ হতো না বললেই চলে। তবে গত কয়েক বছর ধরে তরমুজের বাম্পার ফলন হওয়ায় তরমুজ চাষে কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে। গত বছরের চেয়ে এ বছর তরমুজের আবাদ তিনগুণ হয়েছে। বর্তমানে বাজারও অনেক ভালো রয়েছে। আগামীতে অনেক কৃষক তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠবেন। তবে মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের বাইরের এলাকাগুলো কয়েকদিন আগে জোয়ারের পানি উঠলেও কৃষকদের কাছ থেকে ক্ষতি হওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন