যশোরের অভয়নগর উপজেলার সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বন উজাড় করে পুনরায় কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি হচ্ছে দেদারছে। বেশ কয়েকবার পরিবেশ অধিদফতর ও উপজেলা প্রশাসন চুল্লিগুলি ভেঙে দেয়ার পরও আবার নতুন করে কাঠ পুড়ানোর কাজ শুরু হয়েছে। যার ফলে একদিকে বন হচ্ছে উজাড়, অপরদিকে পরিবেশ হচ্ছে দূষিত।
সরেজমিনে দেখা যায়, অভয়নগর উপজেলার সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে কাঠকয়লা তৈরির চুল্লি। এই চুল্লিতে দেদারছে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। প্রতিনিয়ত ফলজ ও বনজ গাছ কেটে সাবাড় করছে এলাকার কিছু অসাধু পরিবেশ দূষণকারী ব্যক্তি। বিশেষ করে উপজেলার সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের ধুলগ্রাম ও সিদ্দিপাশার সোনাতলা এলাকার কতিপয় ব্যক্তি এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই এলাকায় প্রায় ৫০টির অধিক চুল্লিতে অবৈধ কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির কাজ চলছে। প্রতিটি চুল্লিতে গড়ে ১৫ দিনে প্রায় ২৫০ মণ কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির কাজ চলছে। বেশ কিছু চুল্লি ভৈরব নদের তীরবর্তী এবং দুর্গম এলাকা হওয়ায় প্রশাসনের অভিযানের বাইরে থেকে যাচ্ছে। বাকি চুল্লিগুলোতে ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদফতর কয়েকদফা অভিযান চালিয়ে ভেঙে ফেললেও পুনরায় আবার ওই চক্রটি সক্রিয় হয়ে কাঠ পুড়িয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, পরিবেশ দূষণের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন এলাকাবাসী। অসাধু চক্রের ভয়ে মুখ খুলতে পারছেন না অনেকে। তাদের মতে, প্রশাসন যদি জোরালো ভূমিকা রাখে তাহলে হয়তো এই গাছ কেটে কয়লা তৈরি চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে।
এ প্রসঙ্গে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আমিনুর রহমান জানান, বিষয়টি সম্পর্কে আমি যেহেতু অবগত নই, সেহেতু বিষয়টি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খুলনা পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। অচিরেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন