জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় ছোট যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি ও বসতভিটা। প্রভাবশালী চক্রের যোগসাজশে অবৈধভাবে এ বালু উত্তোলন করা হলেও হুমকি-ধমকির ভয়ে কেউ বাধা দিতে পারছে না।
জানা যায়, পাঁচবিবি উপজেলায় খোকন মিয়াসহ বেশ কয়েকজন বালু ব্যবসায়ী রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম উপজেলার পার্বতীপুর গ্রামের খোকন মিঞা। এই বালু ব্যবসায়ী দীর্ঘ ৬-৭ বছর ধরে পাঁচবিবি উপজেলার ধনঞ্জী ইউনিয়নের বাগুয়ান এলাকায় শাখা যমুনা নদীতে নিষিদ্ধ ও অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে প্রায় শত ফুট গভীরতা সৃষ্টি করে বালু উত্তোলন করছে। ফলে নদীপার সংলগ্ন শত শত বিঘা তিন ফসলি আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
অপরদিকে, বালু বহনের শত শত ট্রাক্টর যাতায়াত করায় রাস্তা ঘাটেরও ব্যপক ক্ষতি সাধন করছে। খানাখন্দকে ভরে গেছে রাস্তাঘাট। নদীর দুই তীরে ব্যাপক ভাঙনের ফলে বড় বড় জলাশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। বালু বাণিজ্য করে খোকন মিঞা ও তার সহযোগিরা শূন্য থেকে কোটিপতি বনে গেছে। তাদের বেপরোয়া আচরণ এলাকাবাসী ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায় না।
এ ব্যাপারে বালু ব্যবসায়ী খোকন মিঞা জানান, আমি নদী সংলগ্ন এলাকায় ব্যক্তি মালিকানা জমি ক্রয় করে বালু উত্তোলন করি। আমি সরকারিভাবে কোনো বালুরঘাট কিংবা নদী ইজারা নেয়নি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে পাঁচবিবি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বরমান হোসেন জানান, বালু উত্তোলনের বিষয়টি আমি শুনেছি। তারা কিভাবে বালু তুলছে, নদীর ঘাট কিংবা সরকারি জমি ইজারা নিয়েছে কিনা তা তদন্ত সাপেক্ষে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন