শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে মেহেদীর রঙ না শুকাতেই গৃহবধূর আত্মহত্যা

কুষ্টিয়া থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ এপ্রিল, ২০২১, ১১:৪১ পিএম

মেহেদীর রঙ না শুকাতে ই, কপ্পুরের সুবাস ছড়িয়ে দিল খাটিয়ার, চির বিদায় নিয়ে চলে গেলেন অভিমানী রিয়া, ওড়না ই হলো কাল, নাকি অন্যকিছু? স্থানীয়রা বলেন কেন, কি কারণে মিষ্টি ভাষী রিয়া আত্মহত্যা করেছে, আমরা তা বুঝতে পারছি না। সকলের সাথে সে মিলে মিশে চলতো, মাত্র ৩৩ দিন আগে বিয়ে হয় কুষ্টিয়া সদর উপজেলার স্বর্গপুর এলাকার আসলামের পুত্র নিহতের খালাতো ভাই রাজনের সাথে। সূত্রে জানান (০৪-০৪-২০২১)গত রবিবার ভোরে দৌলতপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড সেনপাড়ায় রতর আলীর মেয়ে রিয়া খাতুনস আত্মহত্যা করেছে। এ সংবাদ পেয়ে দৌলতপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থল যায় এবং লাশের আত্নীয় স্বজনদের কথায় সন্দেহ হলে পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ ব্যাপারে দৌলতপুর থানার অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। সূত্রে জানান কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার সেনপাড়ায় রতন আলীর মেয়ে ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী রিয়া খাতুন শনিবার দিবাগত রাতে কোন এক সময় বাড়ির উঠানের উপর থাকা পিয়ারা গাছের সাথে ওড়না গলাই বেঁধে আত্মহত্যা করে ঝুলে রয়েছে। এ সময় রিয়ার নানি ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য ঘর থেকে ওযু করতে গেলে দেখতে পাই ঝুরন্ত অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে রিয়ার নিথর দেহ খানি। রবিবার ভোরে এ সংবাদ পেয়ে প্রতিবেশিরা ছুটে আসেন এবং গাছ থেকে নামিয়ে পানি ঢালতে থাকে,কিন্তু তার আগেই যা হওয়ার তা হয়েগেছে। তাদের অতি আদরের মেয়েটি আর নেই। উল্লেখ্য রিয়ার মায়ের তালাক হলে রিয়াকে নিয়ে তার মা পিতার বাড়িতে চলে আসে এবং সংসারে অভাব অবটনের কারনে রিয়া খাতুনকে তার আত্নীয়দের মধ্যে থেকে স্বামী পরিত্যক্ত রোজিনা খাতুন ফুরকি লালন পালনের দায়ভাব গ্রহন করেন, সেই থেকে পালিত মা ছিলেন রোজিনা। তিনি ঢাকায় থাকেন। পারিবাড়িক ভাবে বিয়ে ও দিয়েছিলেন। তবে কেন সে আত্নহত্যা করলো, তা পরিস্কার নয় প্রতিবেশিরা। অনেকের ধারনা তাদের পারিবারিক কোন গোপন কলহ থাকতে পারে অথবা এই জামাই হয়তো পরিবারের অন্যান্যদের পছন্দের পত্র ছিলনা। সংবাদ পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করেন এবং ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া হাসপাতালে প্রেরণ করেন নিহত রিয়ার বিয়ে হয়েছিল ৩৩ দিন আগে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার স্বর্গপুরে এলাকার আসলামের পুত্র রাজনের সাথে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন