দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর-খোসকান্দি ও রায়পুর-আসমানিয়া সড়কটি দিয়ে তিতাস, মুরাদনগর ও হোমনা উপজেলার প্রায় ৫টি ইউনিয়নের লোকজন যাতায়ত করেন। সড়কটি পুরো চার কিলোমিটার দাউদকান্দি উপজেলার অংশে এবং উপজেলার গৌরীপুর-খোসকানন্দি সড়কের গৌরীপুর বাজার থেকে লক্ষিপুর, চান্দেরচর পর্যন্ত পিচঢালাই ওঠে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে ছোট বড় গর্ত। এসব গর্তের ওপর দিয়ে হেলেদুলে চলছে ছোট বড় যানবাহন। সড়কের পাশে ল²ীপুর মাদরাসায় প্রতিদিন কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ও অভিভাবক এ সড়কে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
অপরদিকে রায়পুর-আসমানিয়া সড়কটিরও একই অবস্থা দেখা গেছে। সড়কটি বিগত ৫/৬ বছর ধরে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে আছে। অনেকে বলছেন দেখার কেউ নেই। সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় স্থানীয় কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে ভ‚ক্তভোগীরা জানান। সিএনজি চালক আবুল হোসেন, কেরামত আলী, ভাঙা সড়কের কারণে ২০ মিনিটের পথ এক ঘণ্টায় যেতেও কষ্ট হয়। আর সড়কের পিচ ঢালাই ওঠে যাওয়ায় বাড়ছে ধুলো-বালু। তাই যানবাহন চলাচল কমে গেছে। ব্যবসায়ী কামাল জানান, দীর্ঘদিন এ রাস্তাটি বেহাল অবস্থা থাকার কারণে হাজার হাজার মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দিনমজুর রহিম জানান, এ রাস্তা নির্মাণ না হওয়ায় দীর্ঘদিন আমরা কষ্ট ভোগ করছি।
এ ব্যাপারে এলজিইডির দাউদকান্দি উপজেলা প্রকৌশলী এসএম আনোয়ার বলেন, ভাঙা সড়কগুলো সংস্কারের জন্য তালিকা তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠনো হয়েছে। যা দরপত্র আহবানে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন