কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পুলিশের সাড়াশি অভিযানে ডাকাতির ২০ দিনের মধ্যেই সংঘবদ্ধ আন্ত:জেলা ডাকাত দলের চিহ্নিত তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে; ঢাকার কদমতলী থানার নতুন শ্যামপুর গ্রামের মৃত নাজিম উদ্দিনের ছেলে বিল্লাল হোসেন(৩৮), গাজীপুরের আশুলিয়া থানার সাভার এলাকার মৃত আবদুর রাজ্জাকের ছেলে এছার উদ্দিন প্রকাশ ইছার আলী(৪৮) ও নারায়নগঞ্জের আড়াইহাজার থানার মুকুন্দি গ্রামের ইমান আলীর ছেলে শাহিনুর রহমান শাহিন(৪৫)। বুধবার [৭ এপ্রিল] আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলা হাজতে পাঠানো হয়েছে। গত ১৫ মার্চ রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামে খাদিজা ভিআইপি পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী নৈশকোচে সংঘবদ্ধ ডাকাত দল যাত্রীদের সর্বস্ব লুটে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ১৬ মার্চ {মঙ্গলবার} দুপুরে ওই বাসের ভুক্তভোগী যাত্রী বান্দরবান জেলার আলীকদম থানার বৃষ্টি বেগমের স্বামী আবুল কালাম বাদী হয়ে ৭জনের বিরুদ্ধে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার আলোকে পুলিশ ওই বাসের চালক ও সুপারভাইজার সহ ৩জনকে তাৎক্ষণিক গ্রেফতার করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে। ঘটনার খুব অল্প সময়ের মধ্যে চিহ্নিত ডাকাতদের গ্রেফতার করায় মহাসড়কে চলাচলরত যাত্রী ও পরিবহন সংশ্লিষ্টরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চৌদ্দগ্রাম থানার পুলিশ পরিদর্শক {তদন্ত} ত্রিনাথ সাহা জানান, গত ১৫ মার্চ রাতে ঢাকা থেকে খাদিজা ভিআইপি পরিবহনের(১৫-৪০৭২) এশটি যাত্রীবাহী বাস কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। পথিমধ্যে কয়েকজন যাত্রী তুলে নেয় বাসটির চালক। কিছুদুর যাওয়ার পর ভিতরের লাইট বন্ধ করে দিয়ে চালককে সরিয়ে বাসের নিয়ন্ত্রন নেয় ডাকাতদল। এসময় যাত্রীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে নগদ টাকা, মোবাইলসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে নেমে পড়ে ডাকাতদল। এ ঘঁনায় ভুক্তভোগীরা জাতীয় সেবা ৯৯৯ এ ফোন করলে ফেনী হাইওয়ে পুলিশ বাসটি আটক করে যাত্রীসহ কুমিল্লা জেলা পুলিশকে বুঝিয়ে দেয়। পরে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজিম উল আহসান যাত্রীদের অভিযোগ অনুযায়ী বাসের চালক আবু তালেব (৫২), সুপারভাইজার আরিফুর রহমান (৪৮), হেলপার রফিকুল ইসলাম (৩৫) কে আটকের নির্দেশ দেন। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ ও যাত্রীদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তদন্তকার্যক্রম শুরু করে তথ্যপ্রযক্তির মাধ্যমে এবং কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন, চৌদ্দগ্রাম সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সাইফ ও চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ শুভ রঞ্জন চাকমার দিক নির্দেশনায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চিহ্নিত আন্ত:জেলা ডাকাতদলের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। আটককৃত তিন ডাকাতই আদালতে জবানবন্দী দিয়েছে। তাদের দেশের বিভিন্ন থানায় অসংখ্য মামলা রয়েছে বলে তিনি জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন