শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

পানির অভাবে কয়রায় সাড়ে ৬শ’ হেক্টর জমির তরমুজ মাঠেই নষ্ট হচ্ছে

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১১ এপ্রিল, ২০২১, ৭:৩০ পিএম

বিগত ৫ বছর আগে থেকে শুরু হয়েছে খুলনার কয়রা উপজেলায় তরমুজ চাষ। এর আগে ধান চাষ করার পর পতিত অবস্থায় থাকত এ সকল এক ফসলী জমি। প্রথমে হাতে গোনা কয়েকজন কৃষক তাদের জমিতে তরমুজ চাষ করে ভাল ফলন ও দাম পাওয়ায় অধিকাংশ কৃষক ঝুঁকে পড়ে তরমুজ চাষে। গত বছরের তুলনায় উপজেলার আমাদী ও বাগালি ইউনয়িনে ৫ গুন বেড়েছে তরমুজ চাষ। এবার কৃষকরা বুক ভরা স্বপ্ন নিয়ে তরমুজ চাষ করলেও দূর্যোগ প্রবণ উপকুলীয় এ জনপদে গত কয়েক মাস অনাবৃষ্টি ও স্থানীয় ভাবে পানির উৎস খাল গুলো শুকিয়ে যাওয়ায় খরতাপের প্রভাব পড়ছে তরমুজের উপর। মাঠেই শুকিয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার তরমুজ।
আমাদী ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের তরমুজ চাষি অমালন্দ মন্ডল বলেন, পানির অভাবে তরমুজগাছ গুলো শুকিয়ে যাওয়ায় ফল নষ্ট হচ্ছে। অনেকেই অনেক দুর শ্যালো বা গভীর নলকূপ থেকে পানি কিনে এনে কোন রকম গাছগুলো বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়ে উঠছেনা।

স্থানীয় উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ১৫০ হক্টের জমিতে তরমুজ চাষ করে কৃষকরা দাম ও ফলন ভালো পাওয়ায় এ বছর কৃষকরা উব্দুদ্ধ হয়ে ৬৫০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করেছে। আমাদি ইউনিয়নের হরিকাটি গ্রামের শেফালী সরদার বলেন, গত বছর এলাকায় তরমুজের ফলন ভালো দেখে এ বছর অন্যরে কাছ থেকে ২ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে প্রথমে তরমুজ চাষ শুরু করেছি। তবে পানির চরম সমস্যায় ভালো ফলন পাওয়া নিয়ে খুবই চিন্তিতি রয়েছি। তিনি বলেন, খালে পানি না থাকায় ডিপ টিউবওয়েল থেকে পানি কিনে এনে গাছগুলো বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি॥ এতে খরচ অনেক বেড়ে গেছে। একই গ্রামের চন্দ্র শেখর মন্ডল বলেন, এ বছর প্রথম ৯ বিঘা জমিতে তরমুজ করতে তার এ পর্যন্ত ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তবে, পানির সমস্যার কারনে আসল টাকা উঠবে কিনা সংশয় রয়েছে । এলাকার অর্থকরী ফসল তরমুজ আবাদে কৃষি অফিস কোন ভুমিকা না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তিনি। তরমুজচাষকৃত এলাকার জমির ভিতরে খালগুলো সংস্কার করার পাশাপশি পানির উৎসের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে তরমুজচাষিদের মাঝে আগ্রহ বাড়তো বলে অনেকেই মন্তব্য করেছে।

কয়রা উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষি অফিসার এস এম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পানির সমস্যা নিরসনের জন্য খাল গুলো খনন করে সমাধান করা যায় কিনা সে ব্যাপারে আগামী উপজেলা সাধারণ সভায় উপস্থাপন করে সমাধানের চেষ্টা করা হবে। পানির অভাবে গাছগুলো বাঁচিয়ে রাখার জন্য উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন