শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

পানির অভাবে হাহাকার

৫০ বছরেও স্থাপন হয়নি ডিপটিউবওয়েল

কবির হোসেন, কাপ্তাই (রাঙ্গামাটি) থেকে : | প্রকাশের সময় : ৪ মে, ২০২১, ১২:০০ এএম

রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার ৫নং ওয়াগ্গা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডস্হ নোয়াপাড়া মারমা পাড়ার গ্রামবাসী স্বাধীনতার ৫০ বছরেও জুটেনি একটি ডিপটিউবওয়েল ফলে এলাকার বসবাসকারী লোকজন বিশুদ্ধ পানির অভাবে হাহাকার করছে। খাবার পানি, ধোয়ামোছা এবং গোসলের পানির জন্য তাদের নির্ভর করতে হয় প্রাকৃতিক উৎস পাহাড়ি ঝর্ণা, ছড়া ও বিকল্প গর্তের জমিয়ে উঠা পানির ওপর। অপরদিকে শুষ্ক মৌসুম অর্থাৎ ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল-মে মাস পর্যন্ত অধিকাংশ ঝর্ণার পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের পানি সংগ্রহ করতে হয় পাহাড়ি ছড়ার ময়লাযুক্ত ঘোলা পানি, কিংবা টিলার নিচে তৈরি অগভীর গর্ত থেকে। অগভীর কুয়ায় চুইয়ে, চুইয়ে আসা পানি বাটিতে করে তুলে ছেঁকে কলসি বরাতে অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘ সময়। এভাবেই নিত্যদিনের পানি সংগ্রহে রীতিমতো সংগ্রাম চলে নোয়াপাড়া এলাকার বাসিদের। বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট থাকায় দুর্ভোগের শিকার নোয়াপাড়া গ্রামবাসী।
গ্রামের অধিকাংশ বৃদ্ধ, যুবক-যুবতী প্রতিদিন বহুদূর পাহাড়ি পথ হেঁটে পানি আনতে যেতে হয় মৃত খোঁড়া ছোট একটি গর্তের কাছে। গর্ত থেকে চুইয়ে, চুইয়ে পানি বের হয়। সেই পানি বাটিতে তুলে একটু একটু করে কলসি ভরে নিজ নিজ বাড়িতে পানি আনা হয়। শীতকাল থেকে পাহাড়ে শুরু হয় পানির কষ্ট ও হাহাকার। সংগ্রহ করা এ পানি দিয়ে নিত্যদিনের কাজ করতে হয়। এ কষ্ট বরাবরের ৫০ বছর যাবত চলছে বলে এলাকার লোকজন জানান।
দুর্ভোগের শিকার নোয়াপাড়া এলাকাবাসী জানান, নিজেদের উদ্যোগে টাকা খরচ করে রিং টিউবওয়েল এবং কুয়ো স্থাপন করলেও পানিতে অতিরিক্ত দুর্গন্ধ থাকার কারণে ব্যবহার অনুপযোগী। যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। নোয়াপাড়ার বাসিন্দারা আরো জানান, নালা, নর্দমা থেকে নেমে আসা ও ছড়ার ময়লাযুক্ত পানিই কাপড় দিয়ে ছেঁকে পান করতেন। ছড়ার পানি বন্ধ হওয়ার ফলে এখন সেই সুযোগও পান না।
এ ব্যাপারে ৫ নং ওয়াগ্গা ইউপি চেয়ারম্যান চিরনজিত তনচংগ্যা জানান, আগামীতে নোয়াপাড়া এলাকায় টিউবওয়েল দেয়ার চিন্তাধারা চলছে। অপরদিকে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর কাপ্তাই উপসহকারী প্রকৌশলী লিমন চন্দ্র বর্মন বলেন, বিষয়গুলো স্হানীয় জন প্রতিনিধিদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে নির্ধারণ করে থাকেন। সে অনুপাতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ কাজ করে থাকেন। এলাকাবাসীর দাবি একটি পানির প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে নোয়াপাড়া পাহাড়ে বসবাস করা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর বিশুদ্ধ পানির সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন