সৈয়দপুর (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা
সৈয়দপুরে ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঈদকে সামনে রেখে গরিব ও দুস্থদের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ শুরু হয়েছে। গত বুধবার উপজেলার কামাপুকুর ইউনিয়নে চাল কেনার সময় ৭ বস্তা চালসহ বাবু হোসেন (৩০) নামে এক পাইকার ও কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নে কার্ড নকল করার অভিযোগে রবি (২৪) ও সোহাগ (১৮) নামে ২ জনকে আটক করা হয়েছে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হলে বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সালেহ মো. মুসা জঙ্গী প্রত্যেককে ১৫ দিন করে কারাদ- প্রদান করেন। প্রত্যেক ইউনিয়নে ৭-৮ কেজি হারে চাল বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভিজিএফ কার্ড গ্রাহকরা। পরিষদের পক্ষে যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত দুস্থদের মাঝে ১০ কেজি চাল বিতরণের দাবি করা হলেও স্লিপ বিতরণে অনিয়মের আশ্রয় নেয়ার অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিরুদ্ধে। কোন স্লিপে নেই নাম-ঠিকানা। নেই সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের নাম। তাই তারা মুষ্ঠিবদ্ধ করে রেখেছে যাতে হারিয়ে না যায়। একবার হারিয়ে গেলেই বিপদে পড়ে যাবে তারা, কারণ যে পাবে ওই স্লিপ সেই হয়ে যাবে ওই স্লিপটির মালিক। এলাকাবাসী জানান, নাম-ঠিকানা বিহীন স্লিপের মাধ্যমে একজন দুস্থ মহিলাদের দ্বারা ইউনিয়নের কিছু টাউট, সচ্ছল, চেয়ারম্যান-মেম্বারদের কাছের লোক ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা বারবার চাল উত্তোলন করছে। আবার ওয়ার্ড উল্লেখ না থাকায় পাশের ওয়ার্ডের দুস্থদের দ্বারা ওই কাজটি করে নেয়া হচ্ছে। এর বিনিময়ে ওই দুস্থ মহিলা বা পুরুষের হাতে তুলে দিচ্ছে ২০-৩০ টাকা মাত্র। উপজেলার কামারপুকুরে ভিজিএফ’র চাল কেনার সময় ইউনিয়নের কামারপুকুর গ্রামের আলিমুদ্দিনের ছেলে বাবু হোসেন (৩০) নামে এক পাইকারকে ৭ বস্তা চালসহ আটক করা হয়েছে। কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নে ভিজিএফ কার্ড স্কান করে শতাধিক কার্ড নকল করার অভিযোগে ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের আল- মামুনের ছেলে রবি (২৪) ও প্রজাপাড়ার খয়রাতের ছেলে সোহাগ (১৮)-কে আটক করা হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) শফিউল ইসলাম জানান, প্রত্যেক ইউনিয়নে ৯ কেজি হারে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে ভিজিএফ চাল বিতরণ করা হচ্ছে। এরপরেও অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন