মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

আবাসিক ভবনে বহিরাগতদের অবস্থান অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার আশঙ্কা

প্রকাশের সময় : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ছাতক সিমেন্ট কারখানা
এএফএম ফারুক চান মিয়া, ছাতক (সুনামগঞ্জ) থেকে

সুনামগঞ্জের ছাতক সিমেন্ট কারখানার আবাসিক কোয়ার্টারে অর্ধশতাধিক বহিরাগত পরিবার দীর্ঘদিন থেকে বসবাস করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি কারখানা কর্তৃপক্ষ অবৈধভাবে বসবাসরত ৫৭টি পরিবারের মধ্যে ২০/২৫টি পরিবারকে বের করে দেয়া হয়েছে। তবে লেখাপড়ার অজুহাতে এখনো বসবাস করছে আরো একাধিক পরিবার। যা কারখানার পথ চলায় মারাত্মক হুমকিস্বরূপ বলে মন্তব্য করছেন স্থানীয়রা। এভাবে কারখানার বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে এলাকার প্রভাবশালীরা। জানা গেছে, ছাতক সিমেন্ট কারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা চরম হুমকির সম্মুখীন করেছে কারখানার আবাসিক কোয়ার্টারে বহিরাগতদের অবস্থানে। এদের অপতৎপরতায় যে কোন সময়ে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। একশ্রেণির অসাধু শ্রমিক-কর্মচারী নিজেদের নামে কারখানার বাসা বরাদ্দ নিয়ে উচ্চমূল্যে বহিরাগতদের কাছে ভাড়া দিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি অবৈধ বসবাসরত পাথর ব্যবসায়ী মামুন মিয়া, ৪নং বাজারের ব্যবসায়ী আবুল কালাম, জনৈক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৫৭টি পরিবারের মধ্যে ২০/২৫টিকে কারখানা কর্তৃপক্ষ কোয়ার্টার থেকে বের করে দেয়া হয়। কিন্তু এরপরও কারখানার কোর্য়াটারে অবৈধভাবে বসবাস করছে ৪নং এলাকার মসজিদ বিল্ডিংয়ের ৩য় তলায় ডিস লাইনের কর্মচারী কালিদাস, ৪নং এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান, অফিসার্স কলোনির পাথর ব্যবসায়ী কয়েছ মিয়া, মোস্তফা ট্রেডার্সের মালিক মোস্তফা মিয়া, জামতলায় ময়না বেগমসহ আরো প্রায় ৩০টি পরিবার। এভাবে টাকার লোভে শ্রমিক-কর্মচারীরা কারখানার সংরক্ষিত এলাকার আবাসিক কোয়ার্টার বহিরাগতদের কাছে ভাড়া দিয়ে কারখানাকে মারাত্মক হুমকির মুখে ফেলেছে। এছাড়া বছরের পর বছর থেকে কারখানার পানি ও বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দোকান, খামারসহ এলাকার অসংখ্য পরিবার। তারা নিজেদের প্রভাব-প্রতিপত্তির জোরে কারখানা সংশ্লিষ্ট না হয়েও টাকার বিনিময়ে এসব ব্যবহার করে যাচ্ছেন। জানা গেছে, নোয়ারাই-ইসলামপুরের ইকবাল মিয়ার বাসাও জনৈক মোস্তফা মিয়ার মৎস্য খামার ও দোকানে কারখানার বিদ্যুৎ ব্যবহার হচ্ছে। কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কাজি রুহুল আমিন জানান, গত ১৮ আগস্ট তিনির এখানে যোগদানের কথা জানিয়ে বলেন, কারখানার সরকারি কোয়ার্টারে বহিরাগতদের বসবাসের বিষয়টি তিনি অবগত নন। কারখানার জিএম (প্রশাসন) আনোয়ার হোসেন জানান, কারখানায় কোন বহিরাগত নেই। যারা ছিল তাদেরকে বের করে দেয়া হয়েছে। বহিরাগতদের কোন তথ্য পাওয়া গেলে দ্রুত তাদেরকে বের করে দেয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন