শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

কাঠের পুল ভেঙে দেয়ার অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

প্রকাশের সময় : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

গোপালগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা

গোপালগঞ্জে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের কাঠের পোল ভেঙে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। কোটালীপাড়া উপজেলার কলাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মাইকেল ওঝার সাথে কলাবাড়ী রাধাকান্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে বাঁশের সাঁকো দেয়া নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে কালিগঞ্জ বাজারের কাঠের পোল ভেঙে দেয়া হয়। এছাড়া ওই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হতে না পেরে চেয়ারম্যান প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে এ কাজ করেছেন বলেও স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। গত বুধবার সকাল থেকে কাঠের ভাঙা পোলের খালে খেয়া নৌকায় পারাপার শুরু হয়েছে। স্কুলের শিক্ষার্থীসহ কলাবাড়ী, হিজলবাড়ী, রামনগর, বুরুয়া, কদমবাড়ী, মাছপাড়া, তেতুলবাড়ী গ্রামের মানুষ জন প্রতি দুই টাকা দিয়ে খেয়া পারাপার হচ্ছেন। এতে সময় ও টাকা ব্যয় হচ্ছে। ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ওই স্কুলের ১০ম শ্রেণির ছাত্র হৃদয় হালদার, ১০ম শ্রেণির ছাত্রী অতসী বিশ্বাস, ১০ম শ্রেণির ছাত্রী স্বর্ণালী বৈরাগী, ৮ম শ্রেণির ছাত্র সুদীপ হালদার অভিযোগ করে বলে, কালিগঞ্জ-কলাবাড়ী সড়ক দিয়ে আমরা স্কুলে যাতায়াত করি। কালিগঞ্জ বাজারে ইউনিয়ন পরিষদের একটি কাঠের পোল রয়েছে। স্কুলের আগে মঙ্গল চন্দ্র বাড়ৈর বাড়িতে একটি বাঁশের সাকে আছে। আবার স্কুল থেকে দূরে উত্তর পাশেও চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে একটি বাঁশের সাকো দেয়া হয়েছে। আমরা মঙ্গল চন্দ্রর বাড়ির সাকো পাড় হলে দ্রুত স্কুলে আসতে পারি। ওই সাঁকোর মালিক আমাদের ওই সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতে বারণ করেন। কিন্তু স্কুলের উত্তর পাশের চেয়ারম্যানের সাঁকো পার হয়ে স্কুলে যাতায়াত করতে ১ কিঃমিঃ ঘুরা লাগে। এ কারণে আমরা স্কুল সোজা বাঁশের সাঁকো দেয়ার জন্য স্কুল কর্র্র্র্র্তৃপক্ষকে জানাই। গত মঙ্গলবার এ সাঁকোর কাজ শুরু করলে চেয়ারম্যানের লোকজন বাঁধা দেয়। শিক্ষকদের তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাচ করে। পরে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওই স্থান ঘেরাও করে। তার পর শ্রমিকরা বাঁশের সাঁকোর কাজ শেষ করেন। পরে ইউপি চেয়ারম্যানের সমর্থক ভবেন রায়সহ অন্যান্যরা স্কুলে এসে যাতায়াতের জন্য ব্যবহৃত কালিগঞ্জ বাজারের কাঠের পোল ভেঙে ফেলার হুমকি দেয়। গত মঙ্গলবার বিকেলে তারা এ কাঠেরপোল ভেঙে দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দেয়। এখন ভেঙে দেয়া পোলের খাল আমাদের নৌকায় পার হতে হচ্ছে। ফলে দুর্ভোগ বেড়েছে। কলাবাড়ী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার মণি মোহন বল্লভ বলেন, চেয়ারম্যান স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছিলেন। গত নির্বাচনে তিনি সভাপতি পদে পরাজিত হন। এতে তিনি স্কুল কর্তৃপক্ষের উপর অখুশি হন। প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই তিনি এ কাজ করেছেন। কলাবাড়ী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ প্রসাদ মজুমদার বলেন, চেয়ারম্যান মাইকেল ওঝা গায়ের জোরে মানুষের চলাচলের কাঠের পোল ভেঙে দিয়েছেন। এখন সেখানে খেয়া চলছে। মানুষ সময় ও টাকা ব্যয় করে যাতায়াত করছেন। ওই রাস্তা দিয়ে প্রতি দিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। চলাচলে তাদের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি। কলাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মাইকেল ওঝা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গত কয়েক দিন আগে পোলের নিচ দিয়ে ট্রলার যাওয়ার সময় ট্রলারের ধাক্কায় পোলটি ভেঙে যায়। সেখানে বাঁশ ফেলে ঝুঁকিপূর্ণ যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়। এ কারণেই আমরা পোলটি বন্ধ করে দিয়েছি। দ্রুত পোলটি সংস্কার করা হবে। গত বছর জোর করেই আমাকে স্কুলের সভাপতি করা হয়েছিলো। এবার আমি নিজেই সভাপতি পদ ছেড়ে অন্যদের নির্বাচিত করেছি। প্রতিপক্ষ আমাকে হেয় করতেই এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ করেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন