কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা যুবলীগের নেতা ও পাকুন্দিয়া ডিগ্রি কলেজের সাবেক ভিপি মো. ফরিদ উদ্দিনকে (৫০) ছুরিকাঘাতে ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার রাতে মঙ্গলবাড়িয়া এলাকায় মোয়াজ্জেম হোসেনের লিচু বাগানের নিচে মঙ্গলবাড়িয়া-হোসেন্দী সড়কের মধ্য এ ঘটনা ঘটে। ফরিদ উদ্দিন উপজেলার মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামের মৃত মো. সাইদুর রহমানের ছেলে। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলা যুবলীগের সদস্য ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক। একই সঙ্গে স্থানীয় সাংসদ অ্যাডভোকেট মো. সোহরাব উদ্দিনের একনিষ্ঠ কর্মীও। এ ব্যাপারে পাকুন্দিয়া থানায় এখনও কোন মামলা হয়নি। জানা যায়, রাত সাড়ে ১২টার দিকে ফরিদ পাকুন্দিয়া বাজার থেকে তার ছোট ভাই একরাম হোসেন টিপুকে মোটরসাইকেলে করে তার বড় ভাইয়ের শ্বশুড়বাড়ি কুমারপুর গ্রামে যান। সেখানে টিপুকে রেখে মঙ্গলবাড়িয়া গ্রামে তার নিজ বাড়িতে ফিরে আসার সময় মোয়াজ্জেম হোসেনের লিচু বাগানের কাছে পৌঁছলে কয়েকজন দুর্বৃত্ত ফরিদকে ঘিরে ফেলে। এরপর তারা ফরিদকে ছুরিকাঘাত করে ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে দুর্বৃত্ত পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে ফরিদ অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকে। কিছুক্ষণ পর তার জ্ঞান ফিরলে ফরিদ তার বড়ভাই মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু ও ছোট ভাই একরাম হোসেন টিপুকে নিজেই তার মুঠোফোনে জানায়। খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাকে উদ্ধার করে পাকুন্দিয়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মাহবুবুর রহমান তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন