টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা সদরের পাহাড়পুর হয়ে ভাওড়া-কামারপাড়া জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটির উন্নয়ন কাজ দুই বছরেও শেষ করতে পারেনি ঠিকাদার। এতে তিন উপজেলার হাজারো মানুষকে চরম জনদুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রকল্পকাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দাবি, দুই বছরে প্রকল্পের ৩০ শতাংশ কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
জানা যায়, মির্জাপুর, সাটুরিয়া ও ধামরাই এই তিন উপজেলার অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে এমপি মো. একাব্বর হোসেন রাস্তাটি উন্নয়নের ব্যবস্থা করেন। ২০১৯-২০ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের অধীনে ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮ কি. মি. রাস্তাটির টেন্ডার আহবান করা হয়। অবনী এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাস্তাটি বাস্তবায়নের জন্য নির্বাচিত হন। দরপত্রে রাস্তার দুইপাশে মাটি ফেলে প্রশস্ত ও উঁচু করার পর পাকাকরণের কথা রয়েছে। কিন্ত দুই বছরে প্রকল্পের মাত্র ৩০ শতাংশ কাজ বাস্তাবয়ন করা হয়েছে বলে প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর নকশাকারক উপসহকারি প্রকৌশলী শামসুদ্দিন জানিয়েছেন। নির্ধারিত সময়ে কাজ বাস্তবায়ন না হওয়ায় ধুলাবালি-কাঁদায় রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাজারো মানুষরা।
ভুক্তভোগী আল মামুন, রিপন ও ফরহাদসহ এলাকাবাসী জানান, কাজ পাওয়ার পর ঠিকাদার নানা অযুহাতে ফেলে রেখেছে। যার কারণে আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ভাওড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আমজাদ হোসেন জানান, জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে চার কোটি টাকা ব্যয়ে রাস্তাটি উন্নযনের ব্যবস্থা করেছেন স্থানীয় এমপি একাব্বর হোসেন। কিন্ত ঠিকাদার নানা কারণ দেখিয়ে কাজ বন্ধ রেখেছে। বার বার তাগিদ দেয়ার পরও তিনি কাজ করছে না।
এ ব্যাপারে অবনী এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. হেকমত উল্লাহ জানান, সাইড বাই সাইড মাটি ধরা ছিল। মাটি ব্যবস্থা করতে না পারায় কাজ ধীরগতিতে হয়েছে। মাটির কাজ শেষ হওয়ায় বাকি কাজ দ্রুত সময়ে শেষ হবে বলেও তিনি জানান।
এ ব্যাপারে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমান জানান, রাস্তার কাজ শেষ করতে ঠিকাদারকে চাপ দেয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ে তিনি কাজ বাস্তবায়ন করবেন বলে জানিয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন