শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

সখিপুরে ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়ম

প্রকাশের সময় : ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সখিপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা

টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার একটি পৌরসভা ও আটটি ইউনিয়নে ভিজিএফ চাল বিতরণে হরিলুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া হতদরিদ্রদের জন্য ১০ টাকা কেজি হিসাবে চাল বিক্রির জন্য ডিলার নিয়োগ করার পরও প্রতি ডিলার কতজন হতদরিদ্র কার্ডধারীদের চাল দিবে এব্যাপারে কোনো প্রকার তথ্য দিতে নারাজ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক লতিফুর রহমান। আটটি ইউনিয়নে ঘুরে দেখা যায়, প্রতি ইউনিয়নে দুইজন করে ডিলার নিয়োগ করা হয়েছে। অধিকাংশ ন্যায্যমূল্যের দোকান বন্ধ রয়েছে। উপজেলার একটি পৌরসভা ও আটটি ইউনিয়নে ১৬ হাজার ২৮২ জন পুরুষ/মহিলা ১০ কেজি করে ভিজিএফের চাল পাবে বলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা যায়। এর মধ্যে সখিপুর পৌরসভায় ৩ হাজার ৮১ জন, কাকড়াজান ইউনিয়নে ২ হাজার ১৯৫ জন, বহেড়াতৈল ইউনিয়নে ১ হাজার ৭১৮ জন, গজারিয়া ইউনিয়নে ৮২৫ জন, যাদবপুর ইউনিয়নে ১ হাজার ৪৬৭ জন, হাতীবান্ধা ইউনিয়নে ১ হাজার ৭৪৯ জন, কালিয়া ইউনিয়নে ২ হাজার ৪৭০ জন, দাড়িয়াপুর ইউনিয়নে ১ হাজার ২৪৫ জন, বহুরিয়া ইউনিয়নে ১ হাজার ৫৩২ জন। গত ঈদে প্রতিজন ভিজিএফ এর চাল পেয়েছিল ২০ কেজি, এ ঈদে প্রতিজন ১০ কেজি করে পাওয়ায় অনেকেই পরিষদে চাল নিতে আসেনি। যারা এসেছে তাদেরকে দশ কেজির স্থলে আট কেজি করে চাল দেয়া হয়েছে। আর চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যগণ ভুয়া নাম দিয়ে চাল খোলাবাজারে বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। আবার অনেক ইউনিয়ন পরিষদে চাল খাদ্যগুদাম থেকে বের করার পরই চাল বেপারীদের নিকট বিক্রি করে দেয়ার নজিরও রয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ইউপি সদস্য বলেন, ভিজিএফ চাল বিতরণের জন্য চাল পরিবহনে সরকারি কোনো খরচ না থাকায় কিছু চাল বিক্রি না করলে চলে না। এদিকে গত বুধবার থেকে সারাদেশে ৫০ লাখ হতদরিদ্র পরিবারকে ১০ টাকা কেজি হিসাবে চাল দেয়ার কথা থাকলেও বুধবার, শুক্রবার, শনিবার বিকাল পর্যন্ত ডিলাররা এ কার্যক্রম চালু করেনি। বুধবার বিকালে এ বিষয়ে জানার জন্য উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক লতিফুর রহমানের কার্যালয়ে গেলে যুবলীগ, আ.লীগের ১৫/২০ জন নেতাকর্মীর আনাগোনা দেখা যায়। এরাই ১০ টাকা কেজি চাল বিক্রির ডিলার। তবে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ডিলারদের ব্যাপারে কোনো তথ্য দিতে রাজি হননি। হতদরিদ্রদের জন্য ডিলারদের এ চাল কোথায় গিয়েছে এবং ডিলারদের নাম কি জানার জন্য উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক লতিফুর রহমানের ০১৭১৮-০২৪৯৬৩ মোবাইল নাম্বারে শতবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন