হিলি সংবাদদাতা
ঈদকে সামনে রেখে হাকিমপুর, বিরামপুর ও ফুলবাড়ী সীমান্তে মাদক ব্যবসা জমজমাট। সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবিকে ফাঁকি দিয়ে অবাধে আসছে ভারত থেকে মরন নেশা ফেনসিডিল। ঈদকে সামনে রেখে সীমান্তগুলোতে মাদক ব্যবসায়ী ও চোরাচালানীরা জোরদার হয়ে উঠেছে। প্রতিটি সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন ফেনসিডিল, হেরোইন, গাঁজা পার হয়ে আসছে। হাকিমপুর. বিরামপুর, ফুলবাড়ী উপজেলায় গড়ে উঠেছে একটি বড় ধরনের চোরাচালান চক্র। এই চক্রটি কিছু পুলিশ ও বিজিবি সদস্যের সাথে যোগাযোগ রাখছে সার্বক্ষণিক। এসব মালামাল ভারত থেকে পার হয়ে আসতে কোন বাধার সম্মুখীন হতে হয়না চোরাচালানীদের। প্রতি মাসে মোটা অংকের টাকা চুক্তি থাকে লাইনম্যন নামের কিছু লোকের সাথে। মরণ নেশা দেশে প্রবেশ করায় সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে যুব ও ছাত্র সমাজকে নিয়ে। পাচার হয়ে আসা এসব মাদকদ্রব্য রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় যাত্রীবাহী কোচ, কার, এ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে নিরাপদে পাঠানো হয়। মাঝে মধ্যে বিজিবি ও পুলিশ ছোট-খাটো দু’একটি অভিযান চালিয়ে কিছু ফেনসিডিল আটক করে। কিন্তু বিশাল বিশাল চালান নাকের ডগা দিয়ে চলে গেলেও আটক করা হয় না। বর্তমানে সীমান্তে মাদক ব্যবসা অতিতে সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে বলে সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারীদের অভিমত। প্রতিরোধকারীদের এই অবৈধ ব্যবসা ও দায়িত্বহীনতার কারণে সীমান্ত চোরাকারবারীদের নিয়ন্ত্রণে। হিলি ভাসছে মাদকের উপড়ে। ধ্বংস হচ্ছে দেশে ভবিষ্যৎ যুব সমাজ ও ছাত্র সমাজ। অনেক উচ্চ শিক্ষিত যুবক চাকরি না পেয়ে নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছে। চোরাচালানীরা ব্যবহার করছে নারী ও শিশুদের। হাকিমপুর (হিলি) সীমান্তে শত শত নারী ও শিশু চোরাচালানি মালামাল বহন করতে দেখা যায়। নারী ও শিশুরাই চোরাকারবারীদের হাতিয়ার। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নারী ও শিশুরা এই চোরাকারবারী ব্যবসায় কাজ করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন