মো. গোলাম ফারুক, দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) থেকে
দুপচাঁচিয়া উপজেলায় কোরবানি পশুর গোশত কাঁটার প্রয়োজনীয় খ্যাঁটা বিক্রয়ের ধুম পড়েছে। মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা তথা পবিত্র কোরবানির ঈদ। প্রত্যেক ধর্মপ্রাণ মুসলমানের এই কোরবানি ত্যাগ-তিতীক্ষা প্রদর্শনের মাধ্যমে মহান আল্লাহ্তায়ালার অধিক নৈকট্য ও সান্নিধ্য অর্জনের অনন্য সোপন। তাই তো সামর্থ্যবান মুসলমানরা এই কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে তাদের পছন্দনীয় পশু গরু-ছাগল ক্রয় করেছে। পবিত্র ঈদুল আজহার দিন আল্লাহ্তায়ালার নিকট সর্বাধিক প্রিয় ও পছন্দনীয় কাজটিই হলো পশু কোরবানি করা। এ দিন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি ও খুশি করতেই এই পশু কোরবানি দিয়ে থাকে। হযরত ইব্রাহিম (আ.)-এর আদর্শেরই তাত্ত্বিক ও বাস্তবরূপ এর প্রতিফলনের মাধ্যমে যুগ যুগ ধরে এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পবিত্র ঈদুল আজহার দিন এই পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন। তাই তো ঈদুল আজহা এলেই এ দেশের বৃহৎ হাটগুলোতে গরু-ছাগল বিক্রির ধুম পড়ে যায়। ঈদ যতো এগিয়ে আসে হাটগুলোতে এই গরু-ছাগল বিক্রি ততো বাড়তে থাকে। এমনকি শহর ও গ্রামাঞ্চলের অনেক স্থানে অস্থায়ীভাবে কোরবানির হাট বসে গরু-ছাগল বিক্রি করতেও দেখা যায়। দেশের বিভিন্ন স্থানের মত এ উপজেলার সামর্থ্যবান মুসলমানরা ইতোমধ্যে তাদের পছন্দনীয় কোরবানির গরু-ছাগল ক্রয় করেছে। এখন সবাই ব্যস্ত কোরবানির গোশত কাটার দা, ছুরির সাথে কাঠের খ্যাঁটা ক্রয় করতে। উপজেলা সদরের সিও অফিস বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দোকানের সামনে দেখা গেল, ছোট ছোট কাঠের গুলের পসড়া সাজিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। অনেকেই পছন্দমত তা ক্রয়ও করছে। কৌতুহল বসত এগিয়ে গিয়ে খ্যাঁটা বিক্রেতা ইন্তাজ প্রামাণিক জানান, প্রতিবছর সে কোরবানির আগে এইসব গোশত কাটার খ্যাঁটা বিক্রির ব্যবসা করে থাকে। নিম কাঠের হাফ ফুট লম্বা প্রতিটি খ্যাঁটা আকৃতি ভেদে সে ২শ থেকে ৩শ টাকায় বিক্রি করে। তার বাড়ির সামনে থেকেও সে এই সব খ্যাঁটা বিক্রি করে। ঈদের দিন পর্যন্ত তার এই খ্যাঁটা বিক্রি হয়ে থাকে। প্রতিবছরের মত এবারও সে সহস্রাধিক গোশত কাটার এসব খ্যাঁটা বিক্রি করবে বলে জানায়। এতে তার প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা লাভ হবে বলে সে ধারণা করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন