শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

মাটিরাঙ্গায় দেশি গরুর প্রথম খামার ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছে যুবক সৈকত

প্রকাশের সময় : ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মুজিবুর রহমান ভুইয়া, মাটিরাঙ্গা (খাগড়াছড়ি) থেকে

এবারের কোরবানির ঈদে নিজের খামারের গরু বিক্রি করে লাখ টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখছেন মাটিরাঙ্গার যুবক মো. সৈকত হোসেন। ক‘দিন আগেও বেকার এ যুবক তার বাবার দেয়া ১৫ লাখ টাকা পুঁজিতে মাটিরাঙ্গার বেলছড়ি ইউনিয়নের তাইফা এরাকায় গড়ে তুলেছে ‘সৈকত বহুমুখী ফার্ম’। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, মাটিরাঙ্গা শাখা থেকে নেয়া ঋণ ও বাবার দেয়া পুঁজিতে শুরুতেই স্থানীয় বিভিন্ন বাজার থেকে ৫২টি দেশি জাতের গরু নিয়ে খামারটি শুরু করেন মাস চারেক আগে। এটাই মাটিরাঙ্গার প্রথম দেশি গরুর একমাত্র খামার। ভবিষ্যতে এখানে গরুর পাশাপাশি মাছের চাষ করার পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি। এবারের কোরবানির ঈদে গরু বিক্রি করে লাখ টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখছে খামারি সৈকত। তিনি বলেন, দিন-রাত অত্যন্ত যতœ সহকারে গরুগুলোকে লালন-পালন করছি। কোনো কেমিক্যাল বা গরু মোটাতাজাকরণের ক্যাপসুল ব্যবহার করা হয়নি বলে জানায় মাটিরাঙ্গার মো. আবদুল ওহাবের ছেলে মো. সৈকত হোসেন। জানতে চাইলে মো. আবদুল ওহাব এ প্রতিনিধিকে জানান, ছেলে যখন কোন ব্যবসাতেই সাফল্য পাচ্ছিল না তখনই দেশি গরুর খামার করার কথাটি মাথায় আসে। তখন নিজের গচ্ছিত টাকা আর কৃষি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে খামারটি গড়ে তুলি। আশা করছি এ খামার দিয়ে একদিন সে প্রতিষ্ঠিত হবে। জানা গেছে, মো. সৈকত হোসেন ছাড়াও তার চাচা মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেন খামারটি দেখাশুনা করছেন। তারা দুজন ছাড়াও বর্তমানে সেখানে মাসিক বেতনে ৪জন শ্রমিক কাজ করছে। গরু পরিচর্যার ব্যাপারে সৈকত জানায়, গরুগুলোকে প্রতিদিন ভুসি, ঘাস, খৈল এবং খড় ইত্যাদি খাওয়ানো হয়। ৫০টি গরুর পেছনে প্রতিদিন পাঁচ হাজার টাকারও বেশি খরচ হয় বলে জানান তিনি। সম্পূর্ণ দেশি জাতের গরু নিয়ে গড়ে তোলা খামারটির ৩০টিরও বেশি গরু কোরবানরি হাটে তোলার জন্য প্রস্তুত জানিয়ে, মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ইতিমধ্যে কোরবানিকে সামনে রেখে স্থানীয় ক্রেতারা ফার্মে আসতে শুরু করেছেন। স্থানীয় ক্রেতাদের বাইরেও সমতলের বিভিন্ন জেলা থেকে গরু বেপারীরাও আসতে শুরু করেছেন তাদের খামারে। মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ব্যক্তি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত এ ধরনের যে কোন খামারে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিতে প্রস্তুত পশু সম্পদ বিভাগ। এমন উদ্যোগ নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নের পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতে গরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলেও দাবি করেন তিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন