বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

রূপগঞ্জে যুবককে শ্বাসরোধে হত্যা স্ত্রীসহ : গ্রেফতার ৩

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২১ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০১ এএম

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আকাশ নামে এক যুবককে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে কথিত স্ত্রীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত সোমবার রাতে রূপগঞ্জ থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত) জসিম উদ্দীনের নেতৃত্বে হবিগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, হবিগঞ্জ জেলার সদর থানার পোদ্দার বাজার এলাকার সোহেল মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া, একই এলাকার জিতু মিয়ার মেয়ে শাবনূর ও আকাশের কথিত স্ত্রী ও মালেক মিয়ার মেয়ে সাবিনা আক্তার। এর আগে, গত ১২ এপ্রিল বিকেলে রূপগঞ্জ উপজেলার তারাব পৌরসভার বরাব বাজার এলাকার একটি বদ্ধ ঘর থেকে আকাশের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

রূপগঞ্জ থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত) জসিম উদ্দীন বলেন, নিহত আকাশ হবিগঞ্জ জেলার সদর থানার পোদ্দার বাজার এলাকার হেকিম মিয়ার ছেলে। হেকিম মিয়া তার প্রতিবেশী সিদ্দিকের কাছে কিছু টাকা পেত। পাওনা টাকা না দেয়ায় হেকিম মিয়া বাদী হয়ে সিদ্দিকের নামে হবিগঞ্জে আদালতে মামলা দায়ের করেন। গত মাসে আকাশ মিয়া শাবনূরকে মিথ্যা স্ত্রী বানিয়ে ও তার বন্ধু সুমন মিয়া সাবিনা আক্তারকে মিথ্যে স্ত্রী বানিয়ে রূপগঞ্জ উপজেলার বরাব এলাকার শুক্কুর আলীর বাড়িতে ভাড়া উঠেন। এরপর থেকে আকাশ-শাবনূর ও সুমন মিয়া- সাবিনা আক্তার স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে এখানে বসবাস করে আসছিল। সিদ্দিকের সঙ্গে সুমন মিয়া ও আকাশের কথিত স্ত্রী শাবনূরের খুব ভালো সম্পর্ক ছিল।

সিদ্দিক তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রতিশোধ নিতে সুমন ও শাবনূরের সঙ্গে আকাশকে হত্যা করার কন্ট্রাক্ট করেন। কন্ট্রাক্ট অনুযায়ী গত রোববার রাতে আকাশের ঘরে কথিত স্ত্রী শাবনূর ও সুমন মিয়া নুডলসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে আকাশকে অজ্ঞান করে ফেলেন। এসময় শাবনূরের ওড়না দিয়ে শাবনূর, সুমন মিয়া ও সাবিনা আক্তার ওড়না গলায় পেঁচিয়ে আকাশকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যায়। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে রূপগঞ্জ থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত) জসিম উদ্দীনের নেতৃত্বে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেন। গত সোমবার রাতে হবিগঞ্জে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে কথিত স্ত্রী শাবনূর, সুমন ও সাবিনা আক্তারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আকাশকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন