ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা
ফরিদপুর জেলার ৯টি উপজেলায় ঈদকে সামনে রেখে চলছে জমজমাট মাদক ব্যবসা। এ মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে প্রভাবশালী কয়েক নেতারা। ফরিদপুরের ৯টি উপজেলার গড়ে প্রতিদিন ৫০ লক্ষ টাকার খুচরা মাদক কেনাবেচা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ করে র্যাব কিছুটা মাদক প্রতিরোধ চেষ্টা ও প্রায়ই মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হলেও প্রভাবশালী মাদক ব্যবসায়ীরা পার পেয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন সীমান্ত দিয়ে পাড় হয়ে এ মাদক আসছে। ভারতীয় সীমান্তবর্তী জেলার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুর্বলতার কারণে ব্যাপক হারে মাদক সরবরাহ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে অভিজ্ঞ মহল ধারণা করছেন। ৩/৪টি জেলা পাড় হয়ে মাদক পৌঁছায় কিভাবে আমাদের বোধগম্য নয়। যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে থাকতো কোনো অবস্থাতেই মাদক বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারতো না। অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রভাবশালী কয়েক নেতার ছাত্রছায়ায় ফরিদপুরের লক্ষ্মীপুর এলাকার লাশকাটা ঘর বস্তি, রেল ষ্টেশন এলাকায় প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে ভাঙ্গা উপজেলার মনসুরাবাদ, কালামৃধা, নগরকান্দা উপজেলা- চাঁদহাট বাজার, জয়বাংলার মোড়, ফরিদপুর সদরের- রথখোল যৌনপল্লী, কানাইপুর, কৃষি কলেজ সংলগ্ন, কৈজুরী, শহরের-পূর্বখাবাসপুর, আলীপুর, অম্বিকাপুর, চরকমলাপুর, বায়তুলআমান। এছাড়াও সদরপুর, সালথা, মধুখালীসহ বিভিন্ন পয়েন্টে দেদারছে মাদক বিক্রি হচ্ছে। এসকল মাদক ব্যবসায়ীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে প্রভাবশালী নেতারা। ওই নেতারা প্রতিদিন মাদক ব্যবসায়ীর নিকট থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, আমরা কিছু মাদক ব্যবসায়ীদের ধরলেও প্রভাবশালী কয়েক নেতার জন্য এদেরকে ধরতে পারছি না। এদেরকে গ্রেপ্তার করলেই ওই প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নাম বলে। চাকুরী হারানো ভয়ে বাধ্য হয়ে ছেড়ে দিতে হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন