টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধুসেতু মহাসড়কে পৃথক তিনটি সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত ও অন্তত ১৬ জন আহত হয়েছে। গতকাল রোববার কালিহাতি উপজেলার আনালিয়াবাড়ি ও হাতিয়া এলাকা এবং বাসাইল উপজেলার বাঐখোলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার পর মহাসড়কের উভয়পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। বিপাকে পড়তে হয় দূরপাল্লার নারী ও শিশু যাত্রীদের। টাঙ্গাইলের ট্রাফিক সার্জেন্ট ইফতেখার জানান, রোববার ভোর ৬ টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধুসেতু মহাসড়কের কালিহাতি উপজেলায় আনালিয়া বাড়ি এলাকায় বাস ও ট্রাকের মুখোমখি সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় বাসের ১০/১২ জন যাত্রী আহত হয়। আহতদের টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর মহাসড়কের উভয়পাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। আধাঘণ্টা পর দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি সরিয়ে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করে। অপরদিকে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে একই উপজেলার হাতিয়া এলাকায় লবণ বোঝাই একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পার্শ্ববর্তী খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ট্রাকের চালক ও সহকারি নিহত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয়া পাওয়া যায়নি। বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ওসি আছাবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এদিকে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর রফিক জানান, সকাল ৭ টার দিকে মহাসড়কের বাসাইল উপজেলার বাঐখোলা এলাকায় নাহিদ ফিলিং স্টেশনের কাছে বাস ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে কেউ মারা না গেলেও অন্তত ৫ যাত্রী আহত হয়। টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মাহবুব আলম ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধুসেতু মহাসড়কের কোথাও দীর্ঘ যানজট নেই দাবি করে তিনি বলেন, মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে অনেকগুলো রিংরোড রয়েছে। এসব সড়কের যানবাহনগুলোকে স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে দেয়ার কারণে মহাসড়কের গাড়িগুলো থেকে থেকে থমকে যায়। ফলে কিছুটা জট সৃষ্টি হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন