যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখতে গড়ে ওঠেছে সড়ক পথ। আর এই সড়ক পথকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা হয়েছে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অফিস ও প্রতিষ্ঠান। শিক্ষার জন্য গড়ে তোলা হয়েছে স্কুল। গড়ে ওঠেছে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান। তবে, এসব কিছুর সমন্বয়ে বর্তমান সময়ে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে উপজেলার নন্দনপুরের সড়কটি। জানা যায়, কুমিল্লার দাউদকান্দি সদর উপজেলার উত্তর ইউনিয়নে নন্দনপুর সড়কটি বর্ষাকাল এলেই পানিতে ডুবে যায়। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন কয়েক গ্রামের হাজার হাজার লোক চলাচল করে। দাউদকান্দি বাজার থেকে ব্যবসায়ীরা ভাড়ি মালামাল বহন করার কারণে রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। প্রায় ২ কি.মি. এ সড়কের বেহাল দশার কারণে এ গ্রামের ও পার্শ্ববর্তী গ্রামের এতিমখানা মাদরাসা ও স্কুলের হাজার হাজার লোক চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এছাড়া বৃষ্টি হলেই কাদার কারণে চলাচলে অযোগ্য হয়ে পরে।
নন্দনপুর গ্রামের ইব্রাহিম, ইসহাক ও তাহফিজুল কুরআন মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ মাওলানা বেলাল হোসাইন জানান, এলাকাবাসী এবং আমার ছাত্রদের কথা ভেবে অনেকের কাছে গিয়েছি। তারা আশ্বাস দিয়েছে, তবে লাভ হয়নি। বৃষ্টি হলেই রিকশা অটোবাইক নিয়ে চলাচল করা যায় না । বর্ষাকালে পানিতে সড়ক ডুবে যায়। নন্দনপুর গ্রামের শায়েস্তা খাঁন জানান, এলাকাবাসীর দুর্ভোগ দেখে দাউদকান্দি উপজেলা চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলীর কাছে গিয়েছি। তিনি রাস্তা নির্মাণের ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন।
নন্দনপুর গ্রামের সরকার বাড়ির মসজিদের ইমাম নুরুল ইসলাম জানান, রাস্তাটি খারাপ হওয়ার কারণে প্রায়ই এখানে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। যার কারণে আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। নন্দনপুর গ্রামের জসিম উদ্দিন মোল্লা জানান, এ রাস্তা দিয়ে রিকশা দিয়ে চলাচল করতে পড়ে অনেকের হাত পা ভেঙে গেছে। তারপরও কর্তৃপক্ষের এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষে নেয় না।
দাউদকান্দি উপজেলা প্রকৌশলী এসএম আনোয়ার হোসেন জানান, ভাঙা সড়কের সংস্কারের জন্য তালিকা তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আশা করি খুব শিগগিরই সংস্কার করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন