চট্টগ্রামের আনোয়ারায় চলতি মৌসুমে ৬ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। ইতোমধ্যে কৃষকরা ধান কেটে নিয়ে যাচ্ছেন ঘরে। চাষের শুরুতে বিদ্যুৎ সঙ্কটে পড়লেও পরবর্তীতে আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় বৈরাগ, বারশত, রায়পুর, চাতরী, আনোয়ারা সদর, বারখাইন, বরুমচড়া, বটতলী, জুঁইদন্ডী, পরৈকোড়া ও হাইলধর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ৬ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ করা হয়েছে। কৃষকরা ধান কাটতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। চারিদিকে শুধু ধান আর ধান। কৃষকরা জানান, বোরা ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে ও কৃষি শ্রমিকদের দম ফেলার সময় নেই। প্রতি শ্রমিক দৈনিক মজুরি হিসেবে পাচ্ছেন ৫শ’ টাকা থেকে ৬শ’ টাকা। ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ করে অনেক শ্রমিকের মৌসুমী কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে।
শোলকাটা গ্রামের কৃষক মহিউদ্দিন জানান, ৩ একর জমিতে চলতি মৌসুমে বোরো ধান চাষ করেছি। ধানের ফলন ভালো হয়েছে। এখন ধান কাটা চলছে। একইভাবে সরেঙ্গা গ্রামের মো. ইয়াছিন জানান, আমি ৪ একর জমিতে বোরো চাষ করেছি। ধানের ফলন গত কয়েক বছর থেকে ভালো। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে মিনি হারভেস্টার মেশিনের মাধ্যমে ধান কাটছি। তাই করোনার পরিস্থিতিতেও শ্রমিক সঙ্কটের কোনো প্রভাব পড়ে নাই।
আনোয়ারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান জানান, করোনা পরিস্থিতিতে কৃষকদের প্রণোদনা দিতে কৃষি অফিস থেকে উন্নত জাতের বীজ ও সার সরবরাহ করা হয়। গত মৌসুমের চেয়ে এবারে এলাকায় অনেক বশি জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে। আর ফলন দেখেও মনে হচ্ছে বাম্পার ফলন হবে। তিনি আরো জানান, গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পরিমাণ জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। তাই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে বলে ধারণা করছি। এছাড়া আধুনিক উচ্চফলনশীল হাইব্রিড, ইনগ্রিড ধান ৫০০০ জনের কাছে বিতরণ করা হয়েছে। এতে ১৫ ভাগ ফলন বেশি আশা রাখছি। উপজেলায় ছোট-বড় ১২টি ধান কাটার হারভেস্টার মেশিন রয়েছে। তাই আনোয়ারায় ধান কাটা ও শ্রমিক নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন