কুমিল্লার দাউদকান্দির গোমতী নদীর ভাঙন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। অব্যাহত ভাঙনে অনেক ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো মানবেতর দিন কাটাচ্ছে। এ অঞ্চলের মানুষের কাছে গোমতী নদী এখন সর্বনাশা এক নাম। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার নতুন হাসনাবাদ, হাসনাবাদ, ভিটিকান্দি, কান্দারগাঁওসহ প্রায় ১৫টি গ্রাম ও ১ হাজার একর ফসলি জমি ভেঙে বিলীন হতে চলেছে গোমতীর গর্ভে। এখানকার মানুষরা ফসলি জমি চাষাবাদ করে প্রধান জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। ইতোমধ্যে অনেকেই নিজেদের জমিজমা ও ভিটেমাটি হারিয়ে নি:স্ব হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। স্থানীয় হবি রহমান, আফজাল বেপারি, শাহজালাল ও ইলিয়াস ফরাজি বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়ে বলেন, জমিজমা যা ছিল ফসল উৎপাদন করে ডাল-ভাত খেতাম, এখন আমাদের জমি গোমতী নদী গিলে খেয়ে ফেলেছে। বর্তমানে শুধু বসতবাড়ি আমাদের একমাত্র সম্বল। তবে, ঘরবাড়িও হুমকির মুখে যেকোনো সময় ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হতে পারে। আয়-রোজগারের পথও বন্ধ। কী খাবো..এই ভাবনায় আমরা দিশেহারা।
এ বিষয়ে দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম খান জানান, গোমতী নদী ভাঙনের বিষয়টি আমি জেনেছি। সরকারি নির্দেশনা পেলে নদী ভাঙনরোধে দ্রæত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন