কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে জহির (২৬) নামে এক বাংলাদেশী চোরাকারবারি গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে। গতকাল বুধবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের জামালপুর সীমান্তে এ ঘটনা ঘটেছে। আহত চোরাকারবারি জামালপুর গ্রামের জব্বারের ছেলে। এ ঘটনায় বিএসএফ পতাকা বৈঠক করে প্রতিবাদ জানিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, জামালপুর গ্রামের জহিরের নেতৃত্বে একদল মাদক চোরাকারবারী ১৫২/১৩(এস) সীমান্ত পিলার সংলগ্ন এলাকা দিয়ে ভারত থেকে মাদক পাচার করছিল। এ সময় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার হোগলবাড়িয়া থানার নাসিরাপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের টহল দল চোরাকারবারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালালে জহির ডান পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে বাংলাদেশ সীমানায় পালিয়ে আসে সঙ্গীয় মাদক চোরাকারবারীর দল। গুলিবিদ্ধ জহির গোপনে রাজশাহীতে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানাগেছে।
বিএসএফ’র গুলিতে বাংলাদেশী গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনস্থ প্রাগপুর কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার আমজাদ হোসেন বলেন, এমন খবর শুনেছি। তবে আমাদের কাছে কোন তথ্য নেই।
এদিকে গুলি বর্ষণের ঘটনায় বিএসএফ’র আমন্ত্রনে ১৫২/১৩(এস) সীমান্ত পিলার সংলগ্ন এলাকায় বিজিবি-বিএসএফ’র মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ১০.১৫টা থেকে ১০.৩৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকে বিজিবি’র পক্ষে ৬ সদস্য প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনস্থ প্রাগপুর কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার আমজাদ হোসেন। বিএসএফ’র পক্ষে ৬ সদস্য প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার হোগলবাড়িয়া থানার মেঘনা বিএসএফ ক্যাম্পের অধিনায়ক এসকে রাজেশ কুমার। পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশী চোরাকারবারীরা বিএসএফকে লক্ষ্য করে ৪-৫ রাউন্ড গুলি বর্ষণের প্রতিবাদ জানায়। তবে পতাকা বৈঠকে চোরাকারবারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোর কথা স্বীকার করেছে বিএসএফ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন