প্রতিবছর রমজান আসে। বেশীর ভাগ প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম এই সময় রোজা করে থাকেন। রোজার মধ্যে অনেকেরই ঘুমের সমস্যা হয়। এর জন্য হয় নানা রকম শারীরিক এবং মানসিক সমস্যা। মন মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। দিনের বেলায় ঘুম ঘুম লাগে এবং কাজে কোনো উৎসাহ থাকেনা। শারীরিক এবং মানসিক সমস্যা বেড়ে যায়।
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে সেই ব্যাক্তি নানা কষ্টে পড়েন। তাই রোজার সময় পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত হওয়া দরকার। রোজার সময় সেহেরিতে উঠতে হয়। এছাড়া বিকেলবেলা ইফতার প্রস্তুতির জন্য অনেক রকম কাজ করতে হয়। তাই ঘুমের স্বাভাবিক যে ছন্দ থাকে সেটা কিন্তু নষ্ট হয়ে যায়। ফলে জীবন যাত্রাতেও এর কিছুটা প্রভাব পড়ে। এজন্যই সাধারণত ঘুমের ব্যাঘাত সৃষ্টি হতে দেখা যায়।
রোজায় পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য তারাবির নামাজ পড়ে ঘুমিয়ে গেলে ভালো হয়। আলো জালিয়ে ঘুমানো ঠিক নয়। অনেকে আলো জ্বালিয়ে ঘুমান। এতে কিন্তু সমস্যা হয়। সাহরি করে নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ ঘুমানো যেতে পারে। দিনের বেলায় যদি সুযোগ থাকে তবে এক ঘণ্টা ঘুমিয়ে নিলে শরীর ভাল থাকবে। এভাবে ঘুমাতে পারলে কিন্তু শরীর ও মন দুইটাই ভালো থাকবে। সন্ধ্যার পর ক্যাফেইন জাতীয় খাবার বর্জন করা উচিত। ইফতার করার পরপরই বেশি চা খাওয়া উচিত নয়। ভাজা পোড়া বেশি খেলে অস্বস্তি হয়। ফলে ভাল ঘুম হয়না। একসাথে বেশি খাবার খেলেও ঘুমের সমস্যা হতে পারে।
ঘুমানোর আগে ল্যাপটপ মোবাইল থেকে দূরে থাকতে হবে। ঘুমের আগে এগুলো ব্যবহার করলে অনেক সময় ভালোভাবে ঘুম আসতে চায়না। ঘুমের পরিবেশে যেন শব্দ না হয় অথবা খুব বেশি গরম না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। রোজার সময় আমাদের দেহঘড়িতে পরিবর্তন হয়। কিন্তু এটি সৃষ্টিকর্তার নির্দেশ এবং রোজা রাখা অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। তাই রোজা রাখতে হবে। ঘুমের ব্যাপারে এসব পরামর্শ মেনে চললে অনেকটাই সমস্যার সমাধান হবে। তারপরও যদি কারো সমস্যা থাকে তাহলে তিনি চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করবেন।
ডাঃ মোঃ ফজলুল কবির পাভেল
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন