সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

করোনা আবহে চীনের সাহায্য নিতে সম্মত ভারত

দৈনিক সংক্রমণ-মৃত্যুতে ফের রেকর্ড

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ মে, ২০২১, ১২:০৩ এএম

করোনাভাইরাস মহামারির দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুতে ফের রেকর্ড গড়ল ভারত। মৃত্যু সাড়ে তিন হাজারের ঘর পেরোনোর পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে শনাক্ত হয়েছে ৩,৭৯,২৫৭ জন। সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ২,৬৯,৫০৭ জন। একদিনে মৃত ৩ হাজার ৬৪৫ জনের এই সংখ্যা গোটা অতিমারি পর্বে ভারতে সর্বোচ্চ। গত বছর থেকে করোনাভাইরাস ২ লাখ ৪ হাজার ৮৩২ জনের প্রাণ কেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সক্রিয় রোগী বেড়েছে ১ লাখ ৬ হাজার ১০৫ জন। সব মিলিয়ে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩০ লাখ ৮৪ হাজার ৮১৪।

সংক্রমণ ও মৃত্যুর মিছিলের পাশাপাশি চলছে টিকাকরণও। গত ২৪ ঘণ্টায় ২১ লাখ ৯৩ হাজার ২৮১ জনকে কোভিডের টিকা দেয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে দেশে মোট টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে ১৫ কোটি ২০ হাজার ৬৪৮ জনকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) স¤প্রতি জানিয়েছে, করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে এক ডজনেরও বেশি দেশে। অর্থাৎ ভারত থেকে করোনার এই স্ট্রেন ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।

করোনা মহামারি প্রকোপে বিধ্বস্ত ভারত। পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার অক্সিজেন, ওষুধ এবং চিকিৎসার প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের জন্য বিদেশী দেশগুলোর কাছ থেকে উপহার, অনুদান এবং সহায়তা গ্রহণ শুরু করেছে দেশটি। গালওয়ান সংঘর্ষের পর সীমান্ত সমস্যা নিয়ে চীনের কাছ থেকে কোন কিছু আমদানি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারা। কিন্তু এবার চীন থেকে অক্সিজেন এবং অন্যান্য জীবন রক্ষাকারী ওষুধ কেনার ক্ষেত্রে ভারতের ‘কোনো সমস্যা নেই’ বলেই জানানো হয়েছে। যদিও সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তান সাহায্য করার আশ্বাস দিলেও সেই সহায়তা নয়া দিল্লি গ্রহণ করবে কি না তা এখনও স্থির হয়নি।

সূত্রে জানানো হয়েছে যে, রাজ্য সরকারগুলো বিদেশী সংস্থাগুলোর কাছ থেকে এই জীবনরক্ষামূলক ডিভাইস এবং ওষুধ সংগ্রহ করতে পারবে। উল্লেখ্য, মনমোহন সিংয়ের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার বিদেশ থেকে সহায়তা গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ১৬ বছরের এই সিদ্ধান্ত এবার বদলের পথে হাঁটল মোদি সরকার।

এর আগে উত্তরকাশী ভ‚মিকম্প (১৯৯১), লাতুর ভ‚মিকম্প (১৯৯৩), গুজরাট ভ‚মিকম্প (২০০১), পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড় (২০০২) এবং বিহার বন্যা (জুলাই ২০০৪) এর সময় বিদেশী সাহায্য গ্রহণ করেছিল ভারত। ২০০৪ সালের ডিসেম্বরের সুনামির পরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেছিলেন, ‘আমরা মনে করি, আমরা নিজেরাই পরিস্থিতি সামলাতে পারি এবং প্রয়োজনে আমরা বিদেশি দেশগুলোর সহায়তা নেব’। সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (5)
হাদী উজ্জামান ৩০ এপ্রিল, ২০২১, ১:৪৩ এএম says : 0
চাওয়ালা মোদির দম্ভ তাহলে চূর্ণ হয়েঝে বোঝা যাচ্ছে।
Total Reply(0)
নাজনীন জাহান ৩০ এপ্রিল, ২০২১, ১:৪৩ এএম says : 0
ভালো একটা সিদ্ধান্ত। বিপদের সময় কে বন্ধু কে শত্রু না দেখে মানবিক সহায়তা নিতে হবে।
Total Reply(0)
কুদ্দুস তালুকদার ৩০ এপ্রিল, ২০২১, ১:৪৪ এএম says : 0
সব দেশেরই মানবিক সহায়তা নিয়ে ভারতের পাশে দাঁড়ানো উচিত।
Total Reply(0)
তোফাজ্জল হোসেন ৩০ এপ্রিল, ২০২১, ১:৪৫ এএম says : 0
উগ্রবাদি বিজেপি ও মোদি যদি এবারের করোনা থেকে সহিষ্ঞুতার শিক্ষা না নিতে পারে তাহলে তাদের জন্য দুর্ভাগ্য।
Total Reply(0)
তোফাজ্জল হোসেন ৩০ এপ্রিল, ২০২১, ১:৪৫ এএম says : 0
উগ্রবাদি বিজেপি ও মোদি যদি এবারের করোনা থেকে সহিষ্ঞুতার শিক্ষা না নিতে পারে তাহলে তাদের জন্য দুর্ভাগ্য।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন