সিলেটের বিশ্বনাথে চাউলধনী হাওর লীজ গ্রহীতা প্রধান সাইফুল আলমের বন্দুকের গুলিতে সুমেল আহমদ (১৮) নামের দশম শ্রেণীর এক ছাত্রকে হত্যা করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন সুমেলের পিতা আব্দুল মালিক (৫০) চাচা মনির মিয়া (৪৫) ও চাচাতো ভাই ছালেহ আহমদ (৩০)। শনিবার (১ মে) বিকেল ৩টার দিকে চৈতনগর চাউলধনী হাওর পারে এ ঘটনা ঘটে। সুমেলের বাড়ি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের চৈতনগর গ্রামে। সুবেল চৈতনগর গাগুটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, চাউলধনী হাওর পাড় দিয়ে চৈতনগর, ইসলামপুর হয়ে লামাটুকের বাজার পর্যন্ত মাটি ভরাট করা চলছে। শনিবার বিকেল ৩টার দিকে চাউলধনী হাওরের লীজ গ্রহীতা বাহিনীর প্রধান সাইফুল ও তার বাহিনী নিয়ে তার নিজ বাড়ির রাস্তা বড় করার জন্য চৈতননগর এলাকায় কৃষকদের মালিকানা জমি থেকে মাটি কাটতে গেলে কৃষকরা বাধা দেন। এতে সাইফুল আলম উত্তেজিত হয়ে সাথে থাকা একটি বন্দুক ও একটি পিস্তল দিয়ে উপর্যপুরী গুলি করে। এতে স্কুল ছাত্র সুমেল, তার পিতা মানিক মিয়া, চাচা প্রবাসী মনির মিয়া ও চাচাতো ভাই সালেহ আহমদ গুরুত্বর গুলিবিদ্ধ হয়। এতে সুমেলের মাথা, চক্কু ও বুকে ৫/৬টি গুলি লাগে। তার পিতার মাথায় গুলি থাকাবস্থায় তিনি সুমেলকে কুলে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পথে সে মারা যায়। বাকি গুলিবিদ্ধদেরকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ইতিপূর্বে চাউলধনী হাওরপাড়ের ২৫টি গ্রামের কৃষকরা প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি ও সংবাদ সম্মেলন করে সাইফুল বাহিনীর নিকট থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবী করেছিলেন। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের আশকারা পেয়ে সাইফুল বাহিনী বেপরোয়া হয়ে চৈতননগর গ্রামের কৃষক দয়ালকে হত্যা করে। এই হত্যা মামলাটি বড় অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দিয়ে আদালতে মূল খুনিকে বাদ দিয়ে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। সন্ত্রাসী বাহিনী চার্জশীট থেকে অব্যাহতি পেয়ে আজ পুনরায় প্রকাশ্যে কৃষকদের উপর গুলি চালিয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এবং দেশ বিদেশে নিন্দার ঝড় বইছে।
এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার ওসি শামীম মূসা ইনকিলাবকে জানান, এ ঘটনায় ৪জনকে আটক করা হয়েছে এবং এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তিনি ঘটনাস্থলে রয়েছেন। মুল আসামিকে গ্রেফতারে তৎপরতা চালাচ্ছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন