কামরুল হাসান, কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) থেকে : তফসীল ঘোষণা না হলেও নির্বাচনমুখী হয়ে পড়েছেন স্থানীয় নেতা কর্মীরা। দলীয় প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেই বেশি আগ্রহী হচ্ছেন তারা। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় আসন্ন ইউপি নির্বাচনে পিঞ্জুরী ইউনিয়নে এবার ৪ জন সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। ইতিমধ্যে তারা দলীয় মনোনয়ন পেতে তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন এবং দলীয় ও ব্যক্তি পরিচয় তুলে ধরছেন ভোটারদের কাছে। অপরদিকে কান্দি ইউনিয়নে ৪ জন আওয়ামী লীগ ও ১ জন বিএনপির সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীই দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। এবার প্রথমবার দলীয় প্রতীক নৌকা ও ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াবেন। ইতোমধ্যে তাদের তৎপরতা লক্ষণীয়। মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আ.লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা দলীয় প্রতীক নৌকা না পেলেও কেউ কেউ সাধারণ ভোটারদের সমর্থন নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন। তবে বিএনপির ক্ষেত্রে একক প্রার্থীই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। সাধারণ ভোটারদের সাথে আলাপকালে তারা জানান, দল থেকে যাকে সমর্থন দিবে আমরা তাকেই ভোট দিব। নির্বাচন সামনে রেখে কান্দি ইউনিয়নে যারা সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী তারা হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক চেয়ারম্যান ধীরেন্দ্রনাথ মধু। তিনি বলেন, আমি ২০০৩ থেকে ২০১১ পর্যন্ত সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করে জনগণের সেবা করেছি। আশা রাখি দল আমাকে মনোনয়ন দিবে। কান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক যুবলীগ সভাপতি শিক্ষক মনিন্দ্রনাথ রায় জানান, জনগণের প্রত্যাশা পূরণে দল আমাকে মনোনয়ন দিবে এটাই প্রত্যাশা। বর্তমান চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সদস্য ও এসএলআর কলেজের সাবেক সাহিত্যিক সম্পাদক উত্তম কুমার বাড়ৈ বলেন, জনগণের জন্য যে উন্নয়ন করেছি এতে দল আমাকে মনোনয়ন দিবে বলে আশা করি। আরেক প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিষ্ণু অধিকারী জানান, দীর্ঘদিন ধরে দল করি এবং দলের জন্য অনেক সংগ্রাম করেছি আমি মনে করি সেটা বিবেচনা করেই আমাকে মনোনয়ন দিবে। উপজেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক তরুণ সমাজ সেবক মো. মান্নান শেখ বলেন, দলের ভিতরে আমাদের কোন বিভেদ নেই। আশা করি, দল আমাকেই মনোনয়ন দিবে এবং আমার সাথে সবাই কাজ করবে। জনগণ নির্বিঘেœ ভোট প্রদান করতে পারলে আশা রাখি ফলাফল আমাদের অনুকূলে থাকবে। পিঞ্জুরী ইউনিয়ন : মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দলীয় প্রতীক নৌকা না পেলেও তারা কেউ কেউ সাধারণ ভোটারদের সমর্থন নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন। কোটালীপাড়া আওয়ামী লীগের খ্যাত এলাকা হওয়ার কারণে এ সমস্যাটি প্রতিটি ইউনিয়নে বিরাজ করছে। তবে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাধারণ ভোটারদের সাথে আলাপ হলে তারা জানান, দল থেকে যাকে সমর্থন দিবে আমরা তাকেই ভোট দিব। নির্বাচন সামনে রেখে যারা সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী তারা হলেন পিঞ্জুরী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আবু ছাঈদ শিকদার। তিনি বলেন, দলের প্রতি শ্রদ্ধা ও মানুষের কল্যাণের জন্য ইউনিয়নে যে উন্নয়ন করেছি এতে আশা করি দল আমাকে মনোনয়ন দিবে। আমি স্বল্প সময়ের জন্য উপ-নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে ইতিমধ্যে ডিজিটাল মাপে দুস্থ অসহায়দের মাঝে ২৯ কেজি করে চাল বিতরণ সরকারি জমা টাকায় গভীর নলকূপ স্থাপনসহ সৃজনশীল কর্মসূচির মধ্যমে একাধিক কিলোমিটারের বেশি রাস্তা নির্মাণ করে উন্নয়নের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি। আরেক প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আমিনুজ্জামান মিলন বলেন, দল আমাকে সমর্থন দিবে এটাই প্রত্যাশা। কোটালীপাড়া শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি বর্তমান উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদী হাসান মুন জানান, আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য রাজনীতি করি তার কাছে আমরা দাবি করব। সে যাকে ভালো মনে করবে তার পক্ষে আমরা সবাই কাজ করব। অন্যদিকে সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহামুদুল হক শিকদারের নামও শোনা যাচ্ছে। এছাড়াও ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে অর্ধশত সম্ভাব্য মেম্বার প্রার্থী রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন