মাধবপুর (হবিগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : হবিগঞ্জের মাধবপুরে মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন প্রায় অর্ধশত বেকার যুবক। এদের অধিকাংশই এ পেশা থেকে বর্তমানে মোটরসাইকেলের মালিক হয়েছেন। অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলা সদর থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেখানে এখনো মোটর যান চলাচল শুরু হয়নি সেইসব এলাকায় কম টাকায় যাত্রী আনা-নেয়া করেন তারা। ফলে অনেক যাত্রী রিকশায় না উঠে তারাও মোটরসাইকেলের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। বর্তমানে মাধবপুর উপজেলা সদরের কিবরিয়া স্কোয়ার, গাবতলী টেক্সীস্ট্যান্ড প্রাঙ্গণ থেকে অর্ধশত যুবক মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহন করেন। এ পেশায় নিয়োজিত মাধবপুর গ্রামের দুলাল জানায়, সে একটি মোটর ওয়ার্কশপে কাজ করত। দৈনিক ৫০/৬০ টাকা দিয়ে তার সংসার চালানো সম্ভব নয় চিন্তা করে একজন ব্যবসায়ীকে একটি মোটরসাইকেল ক্রয় করে দেয়ার অনুরোধ করেন। পরে ঐ ব্যবসায়ী তাকে একটি মোটরসাইকেল কিনে দেন। এরপর থেকে প্রতিদিন দুলাল তা দিয়ে যাত্রী পরিবহন করে মালিককে ২শ’ টাকা ভাড়া দিয়েও দুলালের আয় হয় গড়ে ৫শ’ টাকা। সংসার পরিচালনার পর বাড়তি টাকা জমিয়ে সে বর্তমানে নিজেও একটি মোটরসাইকেলের মালিক হয়েছেন। তার এ সফলতা দেখে বর্তমানে মাধবপুরে রফিক মিয়া, রুকনউদ্দিন, টুটন মিয়া, বশির, কুদ্দুস, অলি, শাহআলম, জাহের, ইউনুসসহ অর্ধশত যুবক এ পেশায় নিয়োজিত। তাদের প্রায় সবাই এখন মোটরসাইকেলের মালিক। যাত্রীরাও কিবরিয়া স্কোয়ার ও গাবতলী টেক্সিস্ট্যান্ড প্রাঙ্গণে মোটরসাইকেলের জন্য অপেক্ষা করেন। দুলাল আরো জানায়, সেই প্রথম এই বিকল্প পেশায় মাধবপুরে যাত্রী পরিবহন শুরু করেন। বর্তমানে তাদের একটি সমিতিও আছে। তারা মাধবপুর থেকে মাদ্রাসায় ১৫ টাকা, গুমুটিয়া শিবপুর ২০ টাকা, হরিশ্যামা ৩০ টাকা, সুলতানপুর ৪০ টাকা, মরারচর ২৫ টাকা, পূর্ব মাধবপুর ১০ টাকা, বাড়া চান্দুরায় ১৫ টাকা করে একটি মোটরসাইকেলে ২ জন যাত্রী পরিবহন করে থাকে। মোটর সাইকেলের এ বিকল্প পেশা দিনদিন সফলতা পাওয়ায় রিকশা চালকদের মাধবপুর রিকশা শ্রমিক ও দিনমজুর সমিতির সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম (পাগলা) জানান, মোটরসাইকেলের কারণে এখন আর যাত্রীরা রিকশায় উঠতে চায় না। ফলে আগের চেয়ে আয়-রোজগার কমে গেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন